ফেনীতে অস্ত্র মামলায় ৭ আসামির ২২ বছরের কারাদণ্ড
ফেনীতে আট বছর পর বিচার শেষে অস্ত্র আইনে সাতজনের প্রত্যেকের ২২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত
ফেনীতে আট বছর পর বিচার শেষে অস্ত্র আইনে সাতজনের প্রত্যেকের ২২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত
বুধবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল আদালত-২-এর বিচারক সৈয়দ মোহাম্মদ কায়সার মোশারফ ইউসুফ এ আদেশ দেন।
মামলার বিবরণমতে, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামের শাহজাহানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় তার বাড়ির একটি কক্ষ থেকে পুলিশ সাতজনের দেহ ও কক্ষ তল্লাশি করে ২টি একনলা বিদেশি বন্দুক, ১টি পাইপগান, ২টি ছোরা, ৩টি রামদা ও ৮টি ককটেল জব্দ করে।
এ ঘটনায় ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক ফিরোজ আলম বাদী হয়ে একই থানায় আটক সাতজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে একই থানার উপপরিদর্শক মোতাহের হোসেন গ্রেফতার সাত আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলার বাদী ও তদন্তকারী কর্মকর্তাসহ ১০ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। তাদের সাক্ষ্য-প্রমাণে মামলার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত আসামি মহিউদ্দিন, ওসমান গনি, হুমায়ুন কবির মিন্টু, মোহাম্মদ ইয়াসিন ও শাখাওয়াত হোসেনের উপস্থিতিতে অস্ত্র আইনের ২টি ধারায় সাতজনের সবাইকে ২২ বছর করে কারাদণ্ডের আদেশ দেন। অপর আসামি সাইফুল ইসলাম সবুজ ও নুরুল ইসলাম জিয়া জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর থেকে পলাতক রয়েছেন। আসামিরা সবাই লেমুয়া এলাকার বাসিন্দা। এ মামলায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ধারাটি এখনও আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে আদালতের আদেশে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদ আহাম্মেদ হাজারী বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, এ আদেশে তারা ন্যায়বিচার পাননি। ন্যায়বিচারের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন বলেও জানান তিনি।