Feni (ফেনী)করোনা ভাইরাসছাগলনাইয়াদাগনভূঞাঁপরশুরামফুলগাজীফেনী পৌরসভাফেনী সদরফেনী সদরবিশেষ প্রতিবেদনসোনাগাজী

ফেনীতে করোনায় দু’দিনে নতুন করে আরো ১৯ জন আক্রান্ত, জেলায় বেড়ে ৩ হাজার ২৬২ জনে দাঁড়িয়েছে, মৃত্যু বেড়ে ৫৪

ফেনী প্রতিনিধি->>

ফেনীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরো ১৯ জন। শনিবার ও রোববার নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ মলিকুলার ল্যাবে ফেনী জেলার ৮৫টি এবং সিভিল সার্জন অফিস, নোয়াখালী থেকে পাঠানো ফেনী জেলার ১৬৮ জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে নতুন করে ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নতুন ১৯ জনসহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ৩ হাজার ২৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। রোববার পর্যন্ত জেলায় ২ হাজার ৬০০ জন সুস্থ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মাসুদ রানা।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, গত বছরের ১৬ এপ্রিল ফেনীতে প্রথম এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রামন শনাক্ত হয়। ফেনীর বক্ষব্যাধি হাসপাতালের জেনেক্সপার্ট ল্যাব, নোয়াখালী আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ পিসিআর ল্যাব, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি) এবং চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিমেল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে পরীক্ষার জন্য মোট প্রেরিত (১৭ হাজার ৮৩০ টি নমুনা প্রেরণ করা হয়েছে এদের মধ্যে ১৭ হাজার ৪৪৮টি নমুনার ফলাফল পাওয়া যায়। নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার ১৭.৭৭ শতাংশ। সুস্থতার হার প্রায় ৭৬.৪৬ শতাংশ।)

রোববার নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ মলিকুলার ল্যাবে ফেনী জেলার ৮৫টি এবং সিভিল সার্জন অফিস, নোয়াখালী থেকে পাঠানো ফেনী জেলার ৯৮ জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী ১৭ জন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সদরের ১০ জন, দাগনভূঞায় ৩ জন, পরশুরামে ২ জন ও সোনাগাজীতে ২ জন রয়েছে। এদের মধ্যে বিদেশগামী যাত্রী রয়েছে ৩ জন।

এর আগে শনিবার নোয়াখালী আব্দুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজ মলিকুলার ল্যাবে সিভিল সার্জন অফিস, নোয়াখালী থেকে পাঠানো ফেনী জেলার ৭০ জন বিদেশগামী যাত্রীর নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এদের মধ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত রোগী ২ জন। আক্রান্ত ২ জন সদরের বাসিন্দা।

(স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে ১৪ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। এর মধ্যে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ১১ জন, ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন, দাগনভূঞা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১জন রয়েছে। এছাড়া আক্রান্তদের মধ্যে আইসোলেশেন চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৬৪৮ জন, তাদের মধ্যে হোম আইসোলেশনে আছেন ৬৩৪ জন রয়েছে।)

জেলায় আক্রান্ত ৩ হাজার ২৪৩ জনের মধ্যে ফেনী সদরে ১ হাজার ৪৬৫ জন, দাগনভূঞায় ৫৪৭ জন, ছাগলনাইয়ায় ৪৪১ জন, সোনাগাজীতে ৩৭৭ জন, পরশুরামে ২১৫ জন, ফুলগাজীতে ১৮২ জন ও ফেনীর বাইরের ৩৬ জন রোগী রয়েছে।

ফেনীতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে জেলার কর্মরত সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেনসহ ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ ও ৯ জন নারী রয়েছে। মৃতদের মধ্যে সদর উপজেলায় ২১ জন, সোনাগাজীতে ১১ জন, দাগনভূঞা উপজেলায় ৮ জন, ছাগলনাইয়ায় ৭ জন, পরশুরামে ৩ জন ও ফুলগাজীতে ২ জন রয়েছে। (নতুন দু’জনের পরিচয় এ তথ্যে যোগ হয়নি)

এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের একটি সূত্র জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, গণমাধ্যমকর্মী, জনপ্রতিনিধি, সরকারী কর্মকর্তা, ব্যাংকার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিশু রয়েছে। ফেনীতে আক্রান্ত অনেক রোগী উন্নত চিকিৎসা নিতে যেয়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাসপাতালে মারা গেলেও বেশিরভাগ মৃতব্যক্তিদের সংখ্যা জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে তালিকায় যোগ হয়নি।

প্রসঙ্গত, ফেনীতে কোভিড-১৯ শনাক্ত’র চার মাসের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ৫শ অতিক্রম করলো। সংক্রমিতের সংখ্যা ৫শ ছাড়াতে সময় লাগে ৭৬ দিন। পরের ৫শ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে সময় লাগে ২৬ দিন। আর পরবর্তী ৫শ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে ৩৫ দিন সময় লাগে। কোভিড-১৯ শনাক্ত’র সাত মাসের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ও সাড়ে ১১ মাসের মাথায় সংক্রমিতের সংখ্যা ২ হাজার ৫শ অতিক্রম করে। পরবর্তী ৫শ শনাক্ত হয়ে মাত্র ১৫ দিন সময় লেগেছে।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!