Feni (ফেনী)ফেনী সদরসর্বশেষস্বাস্থ‌্য

ফেনী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : একমাসে সর্বোচ্চ অন্ত:সত্তা নারীর স্বাভাবিক প্রসব

নিজস্ব প্রতিনিধি :

ফেনী মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে গত অক্টোবর মাসে ১৪০ জন অন্ত:সত্তা নারীর স্বাভাবিক প্রসব হয়। এটি হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের সর্বোচ্চ সংখ্যা।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত অক্টোবর মাসে এখানে ১২ জন অন্ত:সত্তা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। আর ১৪০ জন অন্ত:সত্তা নারী স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করেন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে এখানে ১১ জন অন্ত:স্বত্ত¡া নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসব করেন। আর ১১৫ জন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সস্তান প্রসব করেন। আগস্টে ৯ জন অন্ত:সত্তা নারী অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ও ১০৫ জন স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসব করেন। গাইনি ও প্রসূতি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা: নাসরীন আক্তার মুক্তার নেতৃত্বে ৭ জনের একটি দল রয়েছেন। তাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শিকা কাওছার জাহান, সুলতানা মাহবুবা, রহিমা বেগম, আশরীন সুলতানা। সহযোগী হিসেবে কাজ করেন বীনা রানী পাল, কল্পনা রানী দাস ও হোসনে আরা বেগম সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের কাজটি করে থাকেন।

সূত্র আরো জানায়, সপ্তাহে ৭দিন বিনামূল্যে নিরাপদ স্বাভাবিক প্রসব কিংবা সিজারিয়ান সেবা প্রদান করা হয়। সেবা প্রদানকারীদের সকল সেবা কার্যক্রম অনলাইনে এবং সিসিটিভি দ্বারা মনিটরিং করা হয়। প্রসব পরবর্তী পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি বিষয়ে কাউন্সেলিং করা হয় এবং মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যুর হার কমানোর লক্ষ্যে কাজ করা হয়।

চিকিৎসা কেন্দ্রটি জেলা সদরের প্রাণকেন্দ্র শহরের ট্রাংক রোডের মডেল থানা সম্মুখস্ত ডাক্তারপাড়ায় হওয়ায় প্রায়ই এখানে সেবা নিতে আসা নারীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা যায়। কেউ মাতৃসেবা, প্রসব সেবা কিংবা প্রসব পরবর্তী সেবা নিতে এসেছেন। কিশোরীদেরও সেবা দেওয়া হচ্ছে। অনেক সময় রোগীর চাপে বসার স্থানও সংকুলান হয়ে পড়ে। জরায়ু মুখের ক্যান্সার সনাক্তকরণের উদ্দেশ্যে ভায়া পরীক্ষা করা হয়। শুধু তাই নয়, বাল্যবিবাহ রোধ করার জন্য কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কিশোরীদের শারীরিক সমস্যা নিরুপনে সেবা দেয়া হয়।

হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার ডা: নাসরীন আক্তার মুক্তা ফেনীর সময় কে জানান, হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় সন্তান প্রসবের সংখ্যা আরো বাড়ানো সম্ভব। এজন্য মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। প্রতিমাসে গড়ে ৮শতাধিক গর্ভবতী নারী সেবা নিয়ে থাকেন। প্রসব পরবর্তীতেও ৪শ থেকে ৭শ পর্যন্ত নারীকে সেবা দেয়া হয়।

তিনি আরো জানান, এখনও অনেক প্রসূতি নারীর ডেলিভারী অদক্ষ ধাত্রী বা সেবাদানকারীর মাধ্যমে বাড়িতে করা হয়ে থাকে। যার ফলশ্রæেিত প্রসব পরবর্তী জটিলতা এবং মায়ের ও শিশুর মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়ে যায়। মাতৃমৃত্যু ও শিশুমৃত্যু রোধ, নিরাপদ প্রসব সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি সেবার কোন বিকল্প নেই।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!