বিনোদন

ফেসবুকে বন্ধুত্বের সুযোগে অপহরণ, ভিডিও ধারণ করে হুমকি

<![CDATA[

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বন্ধুত্বের নামে প্রথমে অপহরণ পরে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে তা ছড়িয়ে দেয়ার হুমকির ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। প্রতারকচক্র ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহে আলাদা দুটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ চারজনকে গ্রেফতারের পর বলছে, লোকলজ্জার ভয়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হওয়ার পরেও পুলিশের কাছে অভিযোগ করছে না।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিকে কৌশলে ডেকে নিয়ে অপহরণ করে সাভারে নিয়ে যান এক নারী। সেখানে তাকে আটকে রেখে নির্যাতনের পর জোর করে ধারণ করা হয় আপত্তিকর ভিডিও। পরে অপরহণকারী চক্র হাত-পা বাধা অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে যায় নির্জন এলাকায়।

ভুক্তভোগী জানান,  তারা চোখ বেঁধে কোথায় নিয়ে গেছে, জানতে পারেনি। সেখানে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে। সেই সঙ্গে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে। পরে আমার কাছে থাকা নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ এটিএম কার্ডে থাকা সব টাকা নিয়ে যায়। এ ছাড়া আমার সঙ্গে থাকা একটি স্বাক্ষর করা চেক নিয়ে যায়।

 

আরও পড়ুন:  প্রতারণা করে কুলি থেকে কোটিপতি, কে এই বিপ্লব লস্কর?

ভুক্তভোগীর করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে ওই নারী এবং তার এক সহযোগীকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ।

জানা যায়, একই কায়দায় তারা একাধিক ব্যক্তিকে অপহরণ করে আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁও থানার আরেকটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে একই অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছে আরও দুজনকে। ফেসবুকে বন্ধুত্ব, পরে প্রেমের সম্পর্ক একটা সময় বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজধানীর এক ব্যবসায়ী। হবু বধূর নানারকম বায়না মেটাতে গিয়ে ওই ব্যবসায়ী এই দুই প্রতারকের হাতে তুলে দিয়েছেন ৮০ লাখ টাকা। প্রথমে মেয়ে মনে করে সম্পর্ক করলেও পরে ওই ব্যবসায়ী জানতে পারেন এত দিন সম্পর্ক ছিল এক ছেলের সঙ্গে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পারে গত ৫ বছর ধরে এই চক্রটি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা।

ঢাকা মহানগর (গোয়েন্দা) সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল বিভাগের (উত্তর) উপপুলিশ কমিশনার তারেক বিন রশিদ বলেন, বহুমাত্রিক প্রতারণার সম্পর্ক তৈরি করে এরা মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিলেন। আমরা মোবাইল ফোন চেক করেছি, তারা বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে একইভাবে প্রতারণা করেছেন।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, ঢাকা শহরে এ রকম ভুক্তভোগীর সংখ্যা অসংখ্য। মানসম্মানের ভয়ে তারা আইনের আশ্রয় নেন না।

এই ধরনের ফাঁদ থেকে বাঁচতে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ পুলিশের।

 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!