ফ্লোরিডায় ঘূর্ণিঝড় ইয়ানে নিহত বেড়ে ৪৫
<![CDATA[
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার পর বিভিন্ন শহরে অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ফ্লোরিডার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আঘাত হানে হারিকেন ইয়ান। খবর সিবিএস নিউজ।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) হারিকেনটি আঘাত হানার পর বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঝড়টি দক্ষিণ দিকে সরে যেতে থাকে এবং ফ্লোরিয়ার পার্শ্ববর্তী অঙ্গরাজ্য জর্জিয়া ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনায় গিয়ে শক্তি হারিয়ে সাধারণ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। দমকা হাওয়ার পাশাপাশি ভারি বৃষ্টিতে বন্যা সতর্কতাও জারি করা হয়েছে সেখানে।
ইয়ানার প্রভাবে দুই অঙ্গরাজ্যে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে দেখা দিয়েছে ভারি বৃষ্টিপাত। এরই মধ্যে উপকূলীয় কয়েক হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া তাদের জন্য দুটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলার কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার বেগে হারিকেনটি আঘাত হানে। যার প্রভাবে বন্যার সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া বিভাগ। এ ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়ারও পরামর্শ দেয়া হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
আরও পড়ুন: ফ্লোরিডার পর ইয়ান আঘাত হেনেছে জর্জিয়া ও দক্ষিণ ক্যারোলাইনায়
ইয়ানকে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ হারিকেন বলে সতর্ক করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। শুক্রবারের (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ইয়ানের বিরূপ প্রভাব থেকে বাচতে সবাইকে নিরাপদে থাকারও পরামর্শ দেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, আমরা সবেমাত্র ধ্বংসের মাত্রা দেখতে শুরু করেছি। এটি ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দুর্যোগ হতে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময় বিকেলে ফ্লোরিডার ট্যাম্পা উপকূলে ঘণ্টায় প্রায় ২৪১ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে ক্যাটাগরি ৪ মাত্রার এ ইয়ান। এ সময় অঙ্গরাজ্যজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় এটি। ইয়ানের প্রভাবে উড়ে গেছে বাড়ির ছাদ, ধসে পড়েছে ঘরবাড়ি, উপড়ে পড়েছে গাছপালা। এ ছাড়া ২৫ লাখের বেশি বাড়ি এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তলিয়ে যায় বেশকিছু এলাকা।
আরও পড়ুন: শক্তিশালী হারিকেনের আঘাতে তছনছ ফ্লোরিডা
যুক্তরাষ্ট্রের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ফ্লোরিডা শাখা জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে পুরো ফ্লোরিডায় যে ৪৫ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৬ জনই ফ্লোরিডার।
অঙ্গরাজ্যের মেয়র জানিয়েছেন, নিহতের প্রকৃত সংখ্যা ৪৫-এর চেয়ে অনেক বেশি হতে পারে। তিনি বলেন, ’আমরা এরই মধ্যে হাজার হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে পেরেছি, কিন্তু তারপরও অনেককেই আনা সম্ভব হয়নি। ফলে প্রকৃত নিহতের সংখ্যা বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছি।’
]]>