বগুড়ায় দুই হাজার টন অবৈধ মজুদকৃত ধান উদ্ধার
<![CDATA[
বগুড়ায় মেঘনা গ্রুপের নির্মাণাধীন রাইস মিলে প্রায় দুই হাজার মেট্রিক টন ধান অবৈধভাবে মজুদের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে সদর উপজেলার মানিকচক এলাকায় অভিযান শেষে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মনিরুল হক।
তিনি বলেন, ‘অভিযানে ধান মজুদের জন্য কোনো ধরণের লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। যেহেতু তাদের কোনো লাইসেন্স নেই তাই এ সকল ধান অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
স্থানীয়রা জানান, বগুড়া সদর উপজেলার মানিচক এলাকায় মেঘনা গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান তানভীর ফুড লিমিটেডের নির্মাণাধীন অটো রাইস মিল রয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে মিলে একাধিক ট্রাকে ধান আসছে এমন খবর পেয়ে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে ৩৪ ট্রাকে প্রায় ৬৫০ টন এবং মিল ক্যাম্পাসে ১ হাজার ৪৫০ টন ধান পাওয়া যায়। এসব ধান মজুদ এবং মিল চালুর কোনো বৈধ লাইসেন্স না থাকায় ধানগুলোকে অবৈধ বলে উল্লেখ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে সবজির দাম কমায় বিপাকে চাষিরা
এ বিষয়ে তানভীর ফুড লিমিটেডের সিনিয়র ডিজিএম প্রকৌশলী কেতাউর রহমান বলেন, ‘আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মিলে পরীক্ষামূলক ধান ভাঙ্গা শুরু হবে। মিলে প্রতি ঘণ্টায় ৪০ মেট্রিক টন ধান প্রয়োজন। তাই এক হাজার ৪০০ মেট্রিক টন ধান ট্রাকে করে আনা হয়েছে।’
লাইসেন্স না থাকার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমরা এই সপ্তাহের মধ্যেই সব ধরনের লাইসেন্স পেয়ে যাব। এ জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
সদর উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অবৈধভাবে ধান মজুদ করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ধান মজুদ, মিল চালু, পাইকারি বা খুচরা এমনকি আমদানিকারকের কোনো লাইসেন্স পাওয়া যায়নি। এই ধানগুলোকে অবৈধ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সরকারি বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
]]>




