বছরের প্রথম দিন নতুন বই পাবে ফেনীর ৮ লাখ শিক্ষার্থী
রাসেল চৌধুরী :
এবারও বছরের শুরুতে জানুয়ারির প্রথম দিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই দিয়ে পাঠ্যপুস্তক দিবস পালন করা হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবারও স্কুলে স্কুলে বই বিতরন উৎসব করা হবে।
নতুন বছরের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীরা হাতে নতুন বই পেলে তারা আনন্দে উদ্বেলিত হয়। পড়াশোনার প্রতিও আরও বেশি আগ্রহ জন্মে। সে জন্যই পাঠ্যপুস্তক দিবস শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহের সৃষ্টি করেছে। এ বছরের প্রথম দিনেই ফেনীতে প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার ১ শত ৪৮ ছাত্রছাত্রীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি আমূল পরিবর্তন নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে। পাঠ্যপুস্তকের কাগজের মান বাড়ানো হয়েছে। বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে প্রচ্ছদ, বইয়ের ভেতরের ছবি, অলঙ্করণও আকর্ষণীয় করা হয়েছে। বই উৎসবের মতোই রঙিন হয়ে উঠুক শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন। বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের একটি সামগ্রিক ইতিবাচক প্রভাব শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ুক এটাই প্রত্যাশা।
জেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের ১ম-৫ম শ্রেনী ও প্রাক্-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জেলার ৬ উপজেলার ৮শ ৭৬ টি প্রাথমিক ও প্রাক-বিদ্যালয়ের জন্য ৬ লাখ হাজার ২০ হাজার ২শ ৫৩ বই বিতরন করা হবে। এর মধ্যে সদর উপজেলা ২ লাখ ২৮ হাজার ২শ ৪০, দাগনভূঞা উপজেলা ১ লাখ ১১ হাজার ১শ ৩৫, সোনাগাজী উপজেলা ১ লাখ ৩০ হাজার ৮শ, ছাগলনাইয়া উপজেলা ৫৮ হাজার ৪শ ৫৮, পরশুরাম উপজেলা ৩৯ হাজার ৬শ ও ফুলগাজী উপজেলার ৫২ হাজার ২০ বই রয়েছে।এছাড়াও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাঠ্যপুস্তকের চাহিদা রয়েছে জেলায় ২৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫ শ ২৭।
জানতে চাইলে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শফি উল্যাহ ফেনীর সময় কে জানান, বই বিতরনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার পর্যন্ত চাহিদার ৭৫ ভাগ বই ফেনীতে পৌঁছেছে। আগামী শনিবার পর্যন্ত বই আসতে থাকবে। আশা করছি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শতভাগ বই হাতে পাবো।
জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন আহমেদ ফেনীর সময় কে জানান, প্রাথমিকের বই বুধবার পর্যন্ত চাহিদার ৮০ ভাগ পৌঁছেছে। প্রতিদিন বই আসছে। আগামী কয়েকদিনও বই আশা অব্যাহত থাকবে। আশাকরি ১ জানুয়ারির মধ্যে চাহিদার পুরোটাই পাবো।