বছরের প্রথম দিন নতুন বই বিতরণ নিয়ে শঙ্কা
<![CDATA[
নতুন বছরের বই উৎসবের আর বাকি কয়েকদিন। কিন্তু সরবরাহের ধীর গতির কারণে চট্টগ্রামে গিয়েছে প্রাথমিক পর্যায়ের মাত্র ২২ শতাংশ আর মাধ্যমিক পর্যায়ের ৩০ শতাংশ বই। এ অবস্থায় বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এদিকে, বইয়ের কাগজের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা।
বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে হবে নতুন বই। তাই গোডাউন থেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বই নিয়ে যেতে ব্যস্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা।
চট্টগ্রামে প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ২৬৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৪৫ লাখ ২২ হাজার ১০০ বইয়ের চাহিদা রয়েছে। অথচ এ পর্যন্ত বই এসেছে মাত্র ৫ লাখ ৬৩ হাজার বই। চাহিদা অনুযায়ী এখনো বই এসে না পৌঁছায় দুশ্চিন্তায় শিক্ষা কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: দাম বাড়ার উত্তাপে অস্থির কাগজের বাজার
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছর সাধারণত আমরা ডিসেম্বরের ২০ তারিখের মধ্যে সব বই পেয়ে যাই। সেক্ষেত্রে এ বছর আমাদের কাছে এসেছে ২২ শতাংশ বই। আমরা যোগাযোগ রাখছি এবং আমাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, এ বছরের মধ্যে বাকি বইগুলো পেয়ে যাব।’
একই অবস্থা মাধ্যমিক পর্যায়েও। মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা পর্যায়ে চাহিদা ১ কোটি ৫৭ লাখ ৯০ হাজার বই। এর মধ্যে এসেছে ৩৪ লাখ ৯২ হাজার। এখন পর্যন্ত ৭০ শতাংশ বই আসেনি বলে জানিয়েছেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মুহাম্মদ ফরিদুল আলম হোসাইনী।
আরও পড়ুন: প্রাথমিকের জন্য কেনা হবে ৭৬ লাখ বই
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বছরে নতুন বইয়ের গন্ধ ছড়িয়ে দিতে চাই। যে কয়টি বই হাতে আসবে তা বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেব।’
এদিকে নতুন বইয়ের কাগজের মান ভালো না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করে শিক্ষকরা বলছেন, কাগজের দাম বাড়ায় প্রকাশকরা খরচ কমাতে নিউজপ্রিন্ট কাগজে বই ছেপেছে। ফলে এ বছর বইয়ের কাগজগুলো আগের তুলনায় একটু নিম্ন মানের।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সোয়া লাখ নতুন বই বিতরণ
নতুন বছরের প্রথম দিনে চট্টগ্রাম জেলায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ২ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজার নতুন বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়ার কথা রয়েছে।
]]>




