বড়দিনকে ঘিরে চট্টগ্রামে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি
<![CDATA[
বড়দিন ঘিরে দেশে চলছে নানা আয়োজন। চট্টগ্রামে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীরা। যীশুর গোয়াল ঘর, ক্রিসমাস ট্রি থেকে শুরু করে প্রতিটি ঘরই সাজানো হচ্ছে আকর্ষণীয় সাজে। সেইসঙ্গে প্রস্তুত করা হচ্ছে গির্জাগুলোও।
দরজায় কড়া নাড়ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। উৎসবের রঙে নিজেদের রাঙাতে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত অনুসারীরা।
বেথলেহেমের গোয়াল ঘরে যেখানে যীশু জন্মগ্রহণ করেছিলেন তারই আদলে প্রতিটি ঘর সাজানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে বড় দিনের মূল আকর্ষণ হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। বিভিন্ন ধরনের ফুল, রঙিন বাতি, সান্টা ক্লজের উপহার সামগ্রী ও কার্ড দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে এটি। বড়দের পাশাপাশি ঘর সাজানোয় অংশ নিচ্ছে পরিবারের শিশুরাও। তাদের ছোট্ট হাতের পরশে সেজে উঠছে প্রতিটি ঘর। সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা।
আরও পড়ুন: পাবনায় বড়দিনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা বলছেন, বড়দিন উপলক্ষে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। যিশুখ্রিস্টের মাধ্যমে আমরা পাপ থেকে মুক্তি পাই। পাপমুক্তির পর আমরা নতুন জীবন শুরু করি। প্রতি বছরের মতো এবারও পরিবারের সঙ্গে সকল মানুষের মঙ্গল কামনায় এ দিনটি পালন করব আমরা।
শুধু ঘর নয়, প্রতিটি গির্জায় চলছে প্রস্তুতি। গির্জাগুলো বর্ণিল আলোক সজ্জায় সজ্জিত করা হচ্ছে। বিশ্বের সকল মানুষের শান্তি কামনায় ও দেশের সকল মানুষ যাতে সুখে, শান্তিতে বসবাস করতে পারে সেই জন্য বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে বলে জানান খ্রিস্টানদের ধর্মীয় গুরু।
আরও পড়ুন: বড়দিনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদাপোশাকে থাকবে গোয়েন্দা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আর্চডাইয়োসিসের ভিকার জেনারেল ফাদার লেনার্ড সি. রিবেরু বলেন, ‘তিনি জন্ম নিলেন গোয়াল ঘরে। আমরা তাই গোশালা সাজিয়ে যিশুপ্রতিকৃতি রাখি। এবং সে প্রতিকৃতিতে নতশিরে চুম্বন করি। এ নত হওয়া মূলত বিনয়ের প্রতীক। এদিনে আমরা বিশ্বের সব মানুষের জন্য শান্তি কামনা করি।’
এদিকে, বড়দিন কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন শপিংমলগুলো সাজিয়ে তোলা হয়েছে। আর ২৫ ডিসেম্বর রাতে বাংলা ও ইংরেজিতে অনুষ্ঠিত হবে সমবেত প্রার্থনা।
]]>