বর-ঘটকের কান ধরে উঠবসের ভিডিও ভাইরাল
<![CDATA[
লালমনিরহাটে যৌতুক নিয়ে বাল্যবিয়ের অভিযোগে ঘটক, বর ও বরের বাবাকে কান ধরে উঠবসের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাতে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, একই উপজেলার বাউরা ইউনিয়নের হোসেনবাদ এলাকার ফজলুল হকের ছেলে ফরিদুল ইসলামের সঙ্গে সরকারেরহাট এলাকার আজিজুল ইসলাম অলির মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়। গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাতে বিয়ে অনুষ্ঠান চলছে এমন খবর পেয়ে সরকারেরহাট এলাকার রাকিবুল হাসান আশরাফী সোহেল কনের বারিতে গিয়ে বরসহ সবাইকে আটক করেন। পরে বাল্যবিয়ে দেয়া ও যৌতুক নেয়া দণ্ডনীয় অপরাধ বলে বর ফরিদুল ইসলাম, তার বাবা ফজলুল হক ও ঘটককে কান ধরে উঠবস কারানোসহ শপথ করান ও নিজের মোবাইলে সেই ভিডিও ধারণ করেন। ফলে পণ্ড হয় বাল্যবিয়ে।
পরে ওই মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে বর ফরিদুল হকের বাবা ফজলুল হকের কাছে ৩০ হাজার টাকা নেন রাকিবুল হাসান আশরাফী।
সম্মানহানি ও ভয় দেখিয়ে টাকা নেয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী ফজলুল হক গত রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাতে পাটগ্রাম থানায় রাকিবুল হাসান আশরাফীর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ওমর ফারুক সময় সংবাদকে জানান, অভিযোগ তদন্ত করে দ্রুতই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অভিযোগকারী ভুক্তভোগী ফজলুল হক সময় সংবাদকে বলেন, ক্ষমতার জোরে সোহেল আমাদের আটক করে গালমন্দ ও কান ধরে উঠবস করান। এ সময় শপথ বাক্য পাঠ করায় সবার সামনে।
আরও পড়ুন: দেশে এক বছরে বাল্যবিয়ে বেড়েছে ১০ শতাংশ
তিনি আরও বলেন, টাকা নেয়ার পরও ভিডিও ভাইরাল করে সোহেল। এই ভিডিওটি দেখে অনেকেই গাল মন্দসহ বাজে কথা বলেছেন। আমরা পরিবারের সবাই মিলে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছি এবং বাধ্য হয়েই বিচারের আশায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি।
এসব বিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল আশরাফী সোহেল বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
তিনি বলেন, মেয়ের বাবা ও মা আমার বাড়িতে এসে বর পক্ষ ও ঘটকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, তারা জোরপূর্বক বিয়ে ও যৌতুকের টাকার জন্য চাপ দিচ্ছেন। আগে ৫০ হাজার টাকা অগ্রিম চেয়েছিল এখন এক লাখ টাকা চাচ্ছেন। পরে আমি ঘটনাটি ফোনে পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানাই ও ঘটনাস্থলে যাই। এক সময় বরপক্ষ নিজেরাই তাদের ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং কান ধরে উঠবস করেন।
আশরাফী আরও বলেন, শপথ বাক্যের কণ্ঠ আমার নয়। উপস্থিত অন্যদের সামনে তারা এসব নিজেরাই করেন এবং মেয়ের বাবার কাছ থেকে নেয়া অগ্রিম ১৫ হাজারসহ জরিমানার ৫ হাজার মিলে ২০ হাজার টাকা ফেরত দিয়ে যান পরের দিন শনিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে।
ভিডিও ভাইরাল করার বিষয়ে তিনি সময় সংবাদকে বলেন, আমি নিজেই ভাইরাল করেছিলাম। পরে ভাইরাল করা ঠিক হয়নি বুঝতে পেরে তা আমার টাইমলাইন থেকে সরিয়ে ফেলি।
]]>




