বাঁশঝাড়ে মেয়ে, পাশের খালে ভাসছিল মায়ের মরদেহ
<![CDATA[
জামালপুর সদর উপজেলায় বাঁশঝাড় থেকে মেয়ে কাজলী আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের ৩৬ ঘণ্টা পর মা জোসনা বেগমের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের বড়ইতার এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। কাজলী আক্তার ও জোসনা বেগম নান্দিনা নয়াপাড়া বাদাম বাড়ি গ্রামের মোস্তফা কামালের মেয়ে ও স্ত্রী।
পুলিশ ও কাজলীর বাবা মোস্তফা কামাল জানিয়েছেন, তার মেয়ে কাজলী আক্তার ও স্ত্রী জোসনা বেগম শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের নেতা নিপুণের সঙ্গে দেখা করতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। নিপুণ কাজলীকে বাঁশচড়া জামিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরি নিয়ে দেয়ার কথা। এ কারণে নিপুণের সাথে ৫ লাখ টাকা রফাদফা হলে ৪ লাখ টাকা দেয়া হয়। এরপর রাতে মা-মেয়ে আর বাড়ি ফিরেনি। রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) সকালে রানাগাছা এলাকার বাঁশঝাড়ে এক নারীর মরদেহ দেখে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে মর্গে পাঠায়। এদিকে মোস্তফা কামাল হাসপাতালে গিয়ে তার মেয়ে কাজলীর শনাক্ত করে। এরপর থেকেই স্ত্রী জোসনা বেগম নিখোঁজ ছিল।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়ায় কলেজ থেকে অফিস সহায়কের মরদেহ উদ্ধার
এদিকে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় এলাকাবাসী বড়ইতার এলাকার বানার খালে এক নারীর মরদেহ ভাসতে দেখে পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার শুলাকুড়ি মমিনবাগ গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে শামীম হাসান এবং সদর উপজেলার জামিরা ফরিদপুর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, এ ঘটনায় টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার শুলাকুড়ি মমিনবাগ গ্রামের আব্দুস সোবহানের ছেলে শামীম হাসান এবং সদর উপজেলার জামিরা ফরিদপুর এলাকার আব্দুল হামিদের ছেলে মামুন মিয়াকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জোসনা বেগমের স্বামী বাদী হয়ে সোমবার রাতে ছয় জনের বিরুদ্ধে জামালপুর সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন।
]]>




