Patuakhali (পটুয়াখালী)

বাঁশের সাঁকো পাড়াপাড়ে সীমাহীন ভোগান্তি।

পটুয়াখালী প্রতিনিধ

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কাছিপাড়া ইউনিয়নের (৬নং ওয়ার্ড) দেওপাশা-মান্দারবন মধস্থ গ্রামে অবস্থিত বাঁশের সাঁকো পাড়াপাড়ে সীমাহীন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থী সহ শতশত পরিবার।
এলাকাবাসী দীর্ঘদিন ধরে ওই খালের উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানালেও তা আমলে নিচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ।দ্বায়িত্বে থাকা সত্ত্বেও গুরুত্ব দিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।প্রায় ৬০-৭০ বছর ধরেই উন্নয়ন ছোঁয়া থেকে বঞ্চিত ও অবহেলিত ওই এলাকার মানুষ। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়,ওই এলাকার ‘মিয়া’ খালে সেতু না থাকায় দীর্ঘদিন ধরে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন দেওপাশা-বান্দরবন গ্রামের প্রায় দুই শতাধিক পরিবার।দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামবাসীরা মিলে কোনরকম একটি অস্থায়ী বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে চলছে।বর্তমানে বাঁশের সাঁকোটি যাতায়াতের জন্য বেশ ঝুকিপূর্ণ ও মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে।ওই এলাকা থেকে আনারকলি মাধ্যমিক বিদ্যালয়,পূর্ব কাছিপাড়া দারুস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসা, সহিদ জালাল সঃ প্রাঃ বিঃ ও কাছিপাড়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য একমাত্র পাড়াপাড়ের পথ।
ওই এলাকার নজরুল খান বলেন,ছোট্ট একটি আয়রন ব্রিজ হলেই আমরা নিরাপদে চলাচল করতে পারি।কিন্তু এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিনিধি বা সংশ্লিষ্ট কেউ কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা ওই সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছে।
কাছিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন,সাঁকোটি ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।এ ব্যাপারে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শিগগিরই পদক্ষেপ নেয়া হবে।এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সুলতান আহম্মেদকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার স্বাক্ষাৎকার নেওয়া সম্ভব হয়নি।এ ব্যাপারে পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী (এলজিইডি) লতিফ হোসেন বলেন জনসাধারণের সুবিধার্থে অতি দ্রুত সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.বশির গাজী বলেন,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে খুব দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!