বাংলাদেশকে পাঁচশ ছাড়ানো টার্গেট দিল ভারত
<![CDATA[
দুই সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে ২৫৮ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে ভারত। তাতে টাইগারদের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য দাঁড়িয়েছে ৫১৩ রানের। ভারতের ৪০৪ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৫০ রানে অলআউট হওয়া টাইগাররা কি পারবে এই লক্ষ্য অর্জন করতে? অন্তত ড্রও কি করা সম্ভব সাকিবদের পক্ষে?
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশকে ১৫০ রানে অলআউট করে ব্যাট করতে নেমে লোকেল রাহুল দ্রুত ফিরলেও সেঞ্চুরি তুলে নেন শুভমান গিল। ১৫২ বলে তিনি করেন ১১০ রান। টেস্ট ক্যারিয়ারে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি। রাহুলকে খালেদ আহমেদ ও গিলকে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এরপর স্কোর বোর্ডে দ্রুত রান তুলেন চেতেশ্বর পূজারা ও বিরাট কোহলি। মূল বোলারদের পাশাপাশি লিটন দাস, ইয়াসির আলি, নাজমুল হোসেন শান্তরা বল করেও পূজারা-কোহলিকে কোনো ধরনের পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি। পূজারা তুলে নেন সেঞ্চুরিও। ১৩০ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। কোহলি করেন ১৯ রান।
ভারতের প্রথম ইনিংসের ৪০৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের প্রথম বলেই বিদায় নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। মোহাম্মদ সিরাজের করা ওয়াইড লেংথের বলে উইকেটরক্ষক রিশভ পন্তকে ক্যাচ দেন তিনি। ওয়ানডাউনে নামা ইয়াসির আলি এসেও ক্রিজে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। উমেশ যাদবের বলে ইনসাইড-এজ হয়ে স্টাম্প হারিয়ে ফেলেন তিনি। ফেরার আগে ১৭ বলে ৪ রান করেন ইয়াসির।
আরও পড়ুন: সিরিজ সেরা মিরাজ
দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর লিটন দাস ও জাকির হাসানের ব্যাটে আক্রমণ শুরু করে বাংলাদেশ। টাইগারদের সেই আক্রমণ বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আশা-ভরসার পাত্র লিটন দাসকে ফিরিয়ে তাতে বাগড়া দেন ভারতের মোহাম্মদ সিরাজ। লিটন আউট হন ব্যক্তিগত ২৪ রানে। ৩০ বলে তার ইনিংসে ছিল ৫টি ছারের মার। অভিষিক্ত জাকির হাসানও জ্বলে উঠতে পারেননি। ভালো ইনটেন্ট দেখিয়েও তিনি আউট সিরাজের বলে, ২০ রানে।
জাকিরের বিদায়ের পর মুশফিকুর রহিমকে নিয়ে কিছুটা সময় অতিবাহিত করেন সাকিব আল হাসান। ২৫ বল খেলে ৩ রান করে তিনি কুলদীপ যাদবের শিকারে পরিণত হন। সাকিবের পর মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসানকেও তুলে নেন যাদব। মুশি ২৮ ও নুরুল স্কোরবোর্ডে ১৬ রান যোগ করেন। ফলোঅনের শঙ্কায় পড়া টাইগাররা ১৩৩ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিন শেষ করে। ক্রিজে ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন।
ফলোঅনের শঙ্কায় পড়া বাংলাদেশের হয়ে তৃতীয় দিন শুরু করেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও এবাদত হোসেন। দ্বিতীয় দিন শেষে মিরাজ ১৬ ও এবাদত ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। কুলদীপের বলে এবাদত আউট হন আরও ৪ রান করার পর। মিরাজ কিছুক্ষণ টিকলেও খুব বেশি রান করতে পারেননি তিনি। আউট হন ব্যক্তিগত ২৫ রানে। ভারতের হয়ে ৫টি উইকেট নেন কুলদীপ যাদব। মোহাম্মদ সিরাজ পান ৩ উইকেট। একটি করে উইকেট নেন উমেশ যাদব ও অক্ষর প্যাটেল।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উপলক্ষে টাইগারদের গায়ে বিশেষ জার্সি
প্রথম ইনিংসে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৪০৪ রান সংগ্রহ করে ভারত। চেতেশ্বর পূজারা ও শ্রেয়াস আইয়ার, দুজনেই আউট হন শতকের কাছাকাছি গিয়ে। বাংলাদেশের বোলিং লাইনআপের বিপক্ষে পূজারা ৯০ ও আইয়ার ৮৬ রান করেন। হাফসেঞ্চুরি করেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বিপরীতে তাইজুল ইসলাম ও মেহেদী হাসান মিরাজ, দুজনেই পান ৪টি করে উইকেট।
]]>