বাংলাদেশের ‘অচেনা’ সিডনি স্টেডিয়ামকে চিনে রাখুন
<![CDATA[
অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। প্রথমবার এই স্টেডিয়ামে খেলার সুযোগ পাচ্ছে বাংলাদেশ। এই স্টেডিয়ামটি বিখ্যাত তার সৌন্দর্য আর ঐতিহ্যের কারণে। আগে এই স্টেডিয়ামে ক্রিকেটের পাশাপাশি ফুটবল ও রাগবি ম্যাচ হতো। এখানে রয়েছে স্টিভ ওয়াহ, স্ট্যান মেকাবের ভাষ্কর্য।
অস্ট্রেলিয়ার তো বটেই, পৃথিবীর অন্যতম আইকনিক স্টেডিয়ামগুলোর একটি সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। মনোমুগ্ধকর পরিবেশ আর অজিদের ঐতিহ্যের সাক্ষী এই স্টেডিয়ামটি। এটি এখন সিডনি তথা অস্ট্রেলিয়াবাসীর আবেগের সঙ্গে মিশে আছে।
সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড যা সংক্ষেপে এসসিজি নামে পরিচিত। ১৮৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় স্টেডিয়ামটি। দর্শক ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৪৮ হাজার।
স্টেডিয়ামটির বিশেষত্ব হলো এখানে ক্রিকেটের পাশাপাশি খেলা হতো ফুটবল ও রাগবি। একটি ফুটবল ম্যাচে ফুটবলারদের ইনজুরিতে পড়ার পর পিচ সরিয়ে ফেলার দাবি উঠে। পরবর্তীতে ক্রিকেট মাঠ থেকে সরিয়ে নেয়া হয় ফুটবল ও রাগবি মাঠ। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের পাশেই নির্মান করা হয়েছে রাগবি ও ফুটবল স্টেডিয়াম।
ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডের জাদুঘর। কিন্তু প্রবেশের অনুমতি না থাকায় ভেতরটা দেখার সুযোগ হয়নি। তবে এসসিজির পরতে পরতে রয়েছে ইতিহাস। গেইট ‘এ’ দিয়ে প্রবেশ করলেই নজর কাড়বে স্টিভ ওয়াহর ভাষ্কর্য। অজিদের সাদা পোশাকের অন্যতম সফল অধিনায়ক। তার অধীনে ৭২ শতাংশ ম্যাচ জিতেছে অজিরা। তাকে সম্মান জানাতে সবার সামনে দেয়া হয়েছে ভাষ্কর্য।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকাও চাপে আছে
একটু সামনে গেলেই দেখা মিলবে অজিদের ইতিহাসের অন্যতম ক্রিকেটার এবং ধারাভাষ্যকার রিচি বেনিউর ভাষ্কর্য। ধারাভাষ্য দিয়েই শুধু বিখ্যাত নন, অজিদের ইতিহাসে প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ২ হাজার রান এবং ২০০’র বেশি উইকেট নিয়েছেন।
এসসিজির জাদুঘর বন্ধ থাকলেও, গ্যালারির দিকে তাকালে মনে করিয়ে দিবে অজিদের সোনালী অতীত। ব্রেডম্যান স্ট্যান্ড, বিল ওরলে স্ট্যান্ডগুলো। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয় ১৮৮২ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের মধ্যকার টেস্ট ম্যাচ দিয়ে।
আর ১৯৭৯ সালে অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডের ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ। আর ২০০৭ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি অনুষ্ঠিত হয় এসসিজিতে। এবারের বিশ্বকাপে একটি সেমিফাইনালসহ মোট সাতটি ম্যাচ ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে। এই মাঠেই প্রথমবার বাংলাদেশ খেলার সুযোগ পাচ্ছে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় ম্যাচে।
]]>




