আলোচনার গোড়াপত্তন গতবছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভয়াবহ ভরাডুবির পর থেকে। সেবার সুপার টুয়েলভে সব ম্যাচ হারের পাশাপাশি স্কটল্যান্ডের বিপক্ষেও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। তাই গুঞ্জন ছড়িয়েছিল চাকরি হারাতে চলেছেন টাইগারদের দক্ষিণ আফ্রিকান হেড কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো।
কিন্তু চুক্তির মারপ্যাঁচে তখন ডোমিঙ্গোকে ছাঁটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)- এমন কথাই শোনা গেছে বোর্ডের সূত্র থেকে। পরে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ থেকে ওয়ানডে সিরিজ জিতে পরিস্থিতি অনেকটাই নিজের পক্ষে নিয়ে এসেছিলেন ডোমিঙ্গো।
তবে এবার নিজ থেকেই সরে যাচ্ছেন এ প্রোটিয়া কোচ। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন বিসিবির সঙ্গে আর থাকছেন না তিনি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে দেশের শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা দৈনিক সমকালে ডোমিঙ্গো জানিয়েছেন, বিসিবিতে তার সময় ফুরিয়ে গেছে।
মূলত জিম্বাবুয়ে সফরের ব্যর্থতার পর ডোমিঙ্গোর ক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ায় মাটিতে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে ডোমিঙ্গোকে। এ সময়ে তাকে আর টি-টোয়েন্টি দল নিয়ে ভাবতে হবে না।
ব্যাটিং কোচ জেমি সিডন্সের পাশাপাশি নতুন টেকনিক্যাল কনসালটেন্ট হিসেবে ভারতের শ্রীধরন শ্রীরামের অধীনে এশিয়া কাপ, নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজ ও অস্ট্রেলিয়ায় বিশ্বকাপ খেলবে বাংলাদেশ দল। গত সোমবার (২২ আগস্ট) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
সেদিন হাসিমুখেই সংবাদমাধ্যমে এ সিদ্ধান্তের যৌক্তিকতা মেনে নিয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছিলেন ডোমিঙ্গো। টি-টোয়েন্টি থেকে অব্যাহতি দিলেও চুক্তির মেয়াদ থাকা পর্যন্ত অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ডোমিঙ্গোই হেড কোচ- এ কথাও স্পষ্টভাবে জানিয়েছিল বিসিবি।
তবে আপাতত কাজ না থাকায় পরদিনই দেশে ফিরে যান টাইগারদের হেড কোচ। সেখান থেকেই আর চাকরি না করার কথা জানিয়েছেন ডোমিঙ্গো। তিনি বলেছেন, ‘বিসিবিতে আমার সময় শেষ। আর থাকছি না। হ্যাঁ সত্যিই (বিসিবি ছেড়ে যাচ্ছি)।’
ডোমিঙ্গোর এ কথার জবাবে বিসিবির অবস্থান জানা যায়নি। তবে নিশ্চিত হওয়া গেছে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক পদত্যাগপত্র দেননি ডোমিঙ্গো। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী চাকরি ছাড়ার জন্য অন্তত তিন মাস আগে চিঠি দিতে হবে ডোমিঙ্গোকে। তবে দুই পক্ষে রাজি থাকলে যেকোনো সময়ই চুক্তি বাতিল করা যাবে।