বাংলাদেশ পুলিশের ফেইসবুক পেইজের ইনবক্সে মেসেজের ভিত্তিতে ব্যবস্থা –
পুলিশের সহায়তায় অবস্থাপন্ন অভিভাবকের কাছ থেকে ছয় মাসের টিউশনির টাকা বুঝে পেল যুবক
রাজশাহী ইউনিভার্সিটি হতে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে সদ্য স্নাতক পাস করা এক ছাত্র বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত “বাংলাদেশ পুলিশ ফেইসবুক পেইজ” এর ইনবক্সে রিপোর্ট করেন। তিনি রাজশাহী মেট্টোপলিটন পুলিশের বোয়ালিয়া থানা এলাকায় এক ভদ্রলোকের সন্তানকে ছয় মাস পড়িয়েছেন। পড়িয়েছিলেন মৌখিক চুক্তির ভিত্তিতে। দিবো দিচ্ছি বলে তার টিউশন ফি ছয় মাস ধরে বকেয়া রাখা হয়েছে।
ছাত্রটি টাকা চাইতে গেলে তার সাথে বাক বিতন্ডা হয়। কোনো ভাবেই নিজের কষ্টার্জিত টিউশন ফি বুঝে না পেয়ে এক পর্যায়ে ছাত্রটি পুলিশের সহযোগিতা চায়। মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং তাকে বোয়ালিয়া থানায় এই বিষয়টি রিপোর্ট করতে পরামর্শ দেয় এবং বোয়ালিয়া থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) নিবারণ চন্দ্র বর্মণ, পিপিএম কে নির্দেশনা দেয় সমস্যাটি সমাধানে আইনী উদ্যোগ নিতে। বোয়ালিয়া থানা এই বিষয়টির দ্রুত সমাধানে উদ্যোগী হয়।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, আর্থিক সঙ্গতি থাকা সত্ত্বেও অভিভাবক ভদ্রলোক রাজশাহী ইউনিভার্সিটির উক্ত ছাত্রের টিউশন ফি পরিশোধ করছিলেন না। পরবর্তীতে, বোয়ালিয়া থানার উদ্যোগে দ্রুততম সময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সমঝোতার ভিত্তিতে সদ্য গ্রাজুয়েট ছাত্রটি তার ছয় মাসের টিউশনির টাকা বুঝে পেয়েছে।
সঙ্গত কারণেই কোনো নাম পরিচয় বা ছবি প্রকাশ করা হলো না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত ছাত্র পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, “আসসালামুআলাইকুম স্যার। আমি আমার পাওনা টাকা পুরো বুঝে পেয়েছি। আপনাদের আদেশ এবং রাজশাহী বোয়ালিয়া মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে। আমি বাংলাদেশ পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। মহান আল্লাহ আপনাদের সহায় হবে।”