খেলা

বাংলাদেশ ৩ বিলিয়ন ভোক্তার বাজারের কেন্দ্র হতে পারে: প্রধানমন্ত্রী

<![CDATA[

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ ৩ বিলিয়নেরও বেশি ভোক্তার একটি বড় বাজারের কেন্দ্র হতে পারে। তিনি বলেন, এর নিজস্ব বাজার রয়েছে ১৬ কোটি ৫০ লাখ মানুষের। এর পূর্বে আধা বিলিয়ন এবং উত্তরে ১ বিলিয়নের বেশি ভোক্তার বাজার রয়েছে। এছাড়া, পশ্চিমে ১ বিলিয়ন ভোক্তার বাজার রয়েছে।

রোববার (৬ নভেম্বর) শেষ হওয়া তৃতীয় দুই দিনের ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট-২০২২-এ প্রধানমন্ত্রীর একটি পূর্ব-ধারণকৃত ভাষণ প্রচারিত হয়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ স্থান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা সারা দেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি, যেখানে সমস্ত সুযোগ সুবিধা রয়েছে। বিশ্বের অনেক বিখ্যাত কোম্পানি এই অঞ্চলগুলোতে তাদের কারখানা স্থাপন করছে।

তিনি বলেন, এছাড়া বাংলাদেশ দেশের অভ্যন্তরে এবং আমাদের প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত করছে। এই বছরের জুনে আমরা দেশের দীর্ঘতম সেতু ‘পদ্মা সেতু’ উদ্বোধন করেছি যা  দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ১৯টি জেলাকে সরাসরি রাজধানী ঢাকা এবং দেশের অন্যান্য অংশের সঙ্গে সংযুক্ত করেছে।

ওয়ার্ল্ড মার্কেটিং সামিট ২০২২-এর প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ফিলিপ কোটলারকে সামিটে তাকে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তিনি ২০১২ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্ব বিপণন সামিটের উদ্বোধন করেছিলেন।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সব অর্জন আ.লীগের হাত ধরেই: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশা করি, ৩য় শীর্ষ সম্মেলন কোভিড -১৯ মহামারি এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা এবং পাল্টা নিষেধাজ্ঞার পরে বিপণনের ক্ষেত্রে চলমান চ্যালেঞ্জগুলোর উপর দৃষ্টিপাত করবে।

সরকার প্রধান বলেন, এই বছরের শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘স্থায়িত্বের লক্ষ্য পূরণে বিপণনে পরিবর্তন’ আমি মনে করি, যথাযথভাবে নির্বাচিত হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং পরবর্তী নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার ফলে বিশ্বজুড়ে পণ্যের বাজারকে অস্থির করে তুলেছে। খাদ্য এবং তেলের দাম বেড়ে কল্পনার বাইরে চলে গেছে এবং সরবরাহ চেইন ব্যাহত হয়েছে। এর ফলে আমাদের মতো আমদানি নির্ভর দেশগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে কঠিন কাজের সম্মুখীন হচ্ছে।

তিনি বলেন, এর পাশাপাশি মুদ্রার মান পড়ে যাওয়া, উচ্চ মূল্যস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলছে।

আরও পড়ুন : চতুর্থ শিল্পবিপ্লব শ্রমবাজারে বিরাট ভূমিকা রাখবে: প্রধানমন্ত্রী

আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক খাতে আকর্ষণীয় অগ্রগতি করেছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আমরা এখন খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। শতভাগ পরিবারকে বিদ্যুতের আওতায় আনা হয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত স্বাস্থ্যসেবা সুবিধা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে। মাথাপিছু আয় ২০০৬ সালে মাত্র ৫৪০ মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। এই সময়ের মধ্যে দারিদ্র্যের হার ৪১ শতাংশের বেশির পর্যায় থেকে ২০.৫ শতাংশে নেমে এসেছে। বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে স্নাতক হওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

শেখ হাসিনা বলেন, জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্য বজায় রেখে বাংলাদেশ কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করেছে। নিক্কেই কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার সূচকে ১২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৫ম স্থানে রয়েছে এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে দেশটি শীর্ষস্থান অর্জন করেছে। প্রায় সব যোগ্য ব্যক্তিকে টিকাদান কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে।

এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানীয় দেশ উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিন্তু, কয়েক বছর ধরে আমরা যে অর্জন করেছি তা মহামারি এবং যুদ্ধের প্রভাব তা গ্রাস করে ফেলছে।
 

মানবতাকে বিপর্যয়কর পরিণতি থেকে রক্ষার স্বার্থে বিশ্বকে অবিলম্বে চলমান সংকটের সমাধান করতে হবে বলে মত দেন তিনি।
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!