বাংলা সংস্কৃতির উত্থান সম্ভব: আসাদুজ্জামান নূর
<![CDATA[
সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, ‘আমি যখন দেখি একই দর্শক কনসার্টে যাচ্ছে, ক্লাসিক্যাল ফেস্টে যাচ্ছে, সুমনের গানে যাচ্ছে, আবার বাউল গানেও যাচ্ছে, তখন আমি বিস্মিত হই। এখনকার ছেলেমেয়েরা সবকিছুতেই অংশগ্রহণ করছে। এটা অনেক ভালো বিষয়। এরাই আমাদের সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখছে। এর ফলে শিল্প-সংস্কৃতি বেঁচে থাকবে।’
বুধবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের শেখ রাসেল মিলনায়তনে বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট (বিসিটিআই)-এর ৯ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে চলচ্চিত্র উৎসব, পুরস্কার বিতরণী ও আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি বেঁচে থাকলে আমরা আমাদের চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারব। আর চলচ্চিত্রের জন্য ফিল্ম ইনস্টিটিউট অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার মতে, ফিল্ম ইনস্টিটিউট প্রকৃতপক্ষে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সুতরাং এখানে যারা শেখাবেন তাদের অধ্যাপক হতে হবে। তাদের প্রকৃতভাবে শিক্ষা দিতে হবে। তাহলে ভালো শিক্ষার্থী ও চলচ্চিত্র তৈরি হবে।’
আরও পড়ুন: শুদ্ধ সংস্কৃতি চর্চায় বাতিঘরের নাট্যোৎসব
এ সময় তার ফেলে আসা কাজের ব্যাপারে বলতে গিয়ে নূর বলেন, ‘আমাদের মধ্যে একটা পাগলামি আছে বলেই আমরা খেয়ে না-খেয়ে কাজ করি। মঞ্চনাটক করে আমি একটা পয়সাও পাইনি। টেলিভিশন নাটকে যখন কাজ করি, তখন পেয়েছি ১১০ টাকা। রেডিওতে ৪০ টাকা। এখন টেলিভিশনে কাজ করলে দেয় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু এখন আর আমাকে ডাকে না।’
মন্ত্রণালয়ের সংস্কৃতি বিভাগে নিয়োগের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন জনপ্রশাসনকে কোনোভাবেই বোঝাতে পারিনি যে, একজন সংগীত পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে কখনোই তার এমএ পাস করার প্রয়োজনীয়তা নেই, বিএ পাসও নয়। সে সংগীতে কতটা দক্ষ সেটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন ও বাংলাদেশ সিনেমা অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রধান নির্বাহী আবুল কালাম আজাদ।
]]>