‘বাণিজ্যিক স্বার্থেই আইসিসির এমন আম্পায়ারিং’
<![CDATA[
পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেমিফাইনালের সুযোগ হাতছাড়া করায় হতাশ দর্শকরা। ভারত ম্যাচের পর এই ম্যাচ নিয়েও সমর্থকরা হতবাক আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে। কেউ কেউ মনে করছেন, টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতেই, নির্দিষ্ট কিছু দলকে সুবিধা দেয়া হচ্ছে।
বিশ্বকাপ যায়, বিশ্বকাপ আসে। পুরনো দুঃখ ভুলে সমর্থকরা আবারো নতুন আশায় বুক বাঁধে। তবে ঘুরেফিরে সেই একই চিত্র। ব্যর্থতা-হতাশা, ভুল শুধরে উন্নতির প্রত্যাশা।
আরও পড়ুন: সাকিবের আউট নিয়ে দ্বিধান্বিত অজি তারকা গিলক্রিস্ট
দক্ষিণ আফ্রিকার হারে বাংলাদেশি সমর্থকদের সকালটা শুরু হয়েছিল নতুন ভোরের খোঁজে। তাই পাকিস্তান ম্যাচটা রূপ নিয়েছিল অঘোষিত কোয়ার্টার ফাইনালে। হতাশার ব্যাটিংয়ে সেসব সমীকরণ ভেস্তে যায় প্রথম ইনিংস শেষেই।
এদিকে বাংলাদেশের এক সমর্থক বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ এলেই বাংলাদেশের এমন অবস্থা হয়। খেলোয়াড়রা হাল ছেড়ে দেয়, মানে সব জায়গাতেই খারাপ করে।’
ভারত ম্যাচের পর পাকিস্তান ম্যাচেও সঙ্গী হয়েছে আম্পায়ার বিতর্ক। সাকিব আল হাসানের আউটটা তার একমাত্র কারণ। সমর্থকরা খুঁজছে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, কারো কারো ধারণা, টুর্নামেন্টের জনপ্রিয়তা বাড়াতেই আইসিসির এমন সব সিদ্ধান্ত।
বাংলাদেশের সমর্থক বলেন, ‘সাকিবের বিপক্ষে সিদ্ধান্তটা অবশ্যই ভুল।’ এদিকে অনেকে বলছে, আইসিসির বাণিজ্যিক লাভের কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ফাইনালে পাক-ভারত ম্যাচ হলে চলতি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়া সেমিতে না ওঠার কষ্ট ভুলে যাবে অনেকেই।
আরও পড়ুন: ইংলিশদের নিয়ে অঙ্ক কষছেন রোহিতরা
এমনই এক দর্শক বলেন, ‘বাণিজ্যিক স্বার্থেই আইসিসির এমন আম্পায়ারিং করেছে। পাকিস্তান-ভারত ফাইনাল হলে এমসিজি (মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড) একেবারে দর্শকে ভরে যাবে। তাই আমার মতে আইসিসি নিজের স্বার্থেই এমন কিছু করেছে।’ অবশ্য কেউ কেউ আবার কোনো অজুহাত দিতে নারাজ। তাদের মত, সামর্থ্যের অভাবেই হারের বৃত্তে বন্দি লাল-সবুজরা।
]]>