বাবার দৃষ্টিতে এটাই শেষ বিপিএল মাশরাফীর
<![CDATA[
হাঁটুতে একাধিক অস্ত্রোপচারে যার পঙ্গু হওয়ার শঙ্কা ছিল, সে মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ৪০ ছুইঁছুইঁ বয়সেও দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ঢাকা পর্ব শেষে এ পেসার যৌথভাবে শীর্ষে আছেন সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায়। তবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া এ তারকার এবারই শেষ বিপিএল দেখছেন তার বাবা গোলাম মোর্ত্তজা।
ক্যারিয়ারের শুরু থেকে চোটের সঙ্গে লড়ে যাচ্ছেন মাশরাফী। নড়াইল এক্সপ্রেসের দুই হাঁটুতে হয়েছে একাধিক অস্ত্রোপচার। তার চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন, এমন পরিস্থিতিতে খেলা চালিয়ে গেলে তার পঙ্গু হওয়ার ভয় আছে। কিন্তু কোনো ভয়ই অদম্য মাশরাফীকে ক্রিকেট থেকে বিরত রাখতে পারেনি।
৩৯ বসন্ত পেরিয়ে ৪০ বছরে পা রেখেছেন এ পেসার। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে খেলা চালিয়ে গেলেও পারফরম্যান্সে এখনো তিনি চিরতরুণ। চলতি বিপিএলে ঢাকার প্রথম পর্ব শেষে ৪ ম্যাচ শেষে সিলেট স্ট্রাইকার্সের হয়ে তিনি শিকার করেছেন ৭ উইকেট। তাতে আল-আমিনের সঙ্গে যৌথভাবে তিনি শীর্ষে আছেন আসরের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায়।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামবাসী বিপিএলের টিকিট কিনবেন যেভাবে
তবে মাশরাফীর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা চান না জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছেলে আর ক্রিকেট খেলা চালিয়ে যাক। অবসরের ঘোষণা না দিলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাশরাফী এখন অনেক দূরে। এবার তার বাবার চাওয়া ছেলে যেন এবারের বিপিএল খেলেই ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়ে নেয়।
মাঠে ছেলের ম্যাচ উপভোগ শেষে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে গোলাম মোর্ত্তজা বলেন, ‘মাশরাফীর আসরে আর খেলা… আপনারাও তো দেখছেন তার পায়ের কী অবস্থা! আজকে মাঠে সে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে বল করেছে। এভাবে ক্রিকেট খেলা সম্ভব না। এভাবে কতদিন সম্ভব? আমি মনে করি এটাই শেষ হওয়া উচিত। বয়স হয়ে গেছে। আঘাতপ্রাপ্ত পা। খোঁড়াচ্ছে। এখানে তো গায়ের জোরের বিষয় না।’
আরও পড়ুন: মিরপুরের উইকেটের প্রশংসায় মাশরাফী-সাকিব
ছেলে পায়ের আঘাত নিয়ে খেলা চালিয়ে যাক সেটা গোলাম মোর্ত্তজা না চাইলেও এ বিষয়ে তিনি কোনো হস্তক্ষেপ করতে চান না। কখন, কী করা প্রয়োজন সেটা মাশরাফীই ভালো বোঝেন বলে মনে করেন তিনি।
গণমাধ্যমকে মাশরাফীর বাবা আরও বলেন, ‘এ ব্যাাপারে তার সঙ্গে আমার কোনো কথা হয়নি। তার যতদিন মনের জোর আছে… সে ভালোই বোঝে কোনটা কখন সম্ভব, কখন সম্ভব না। আমার বলার কিছু নেই। সম্ভব মনে করবে চালাবে, সম্ভব মনে না করবে চালাবে না।’
]]>




