বায়ু দূষণের কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন দিতে মানবাধিকার কমিশনের চিঠি
<![CDATA[
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা শিরোনামে সময় সংবাদে খবর প্রকাশের পর বায়ু দূষণের কারণ চিহ্নিত করে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে পরিবেশ অধিদফতর, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ ও দুই সিটি করপোরেশনকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন৷
মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) এই চিঠি দেয়া হয়েছে।
ঢাকার বায়ুমান উন্নত করতে একজন বিশেষজ্ঞকে নিয়ে কমিটি করার কথাও চিঠিতে বলা হয়েছে।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ‘দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা’ শিরোনামে খবর প্রকাশ করে সময় সংবাদ। ওইদিন সকাল সাড়ে ৭টায় ঢাকার এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) স্কোর রেকর্ড করা হয় ২৭৮, যা বাতাসের মান ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ বলে নির্দেশ করে।
আরও পড়ুন: দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
একিউআই স্কোর ১০০ থেকে ২০০ পর্যন্ত ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয় বিশেষ করে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণে প্রতি বছর ৬৭ লাখ মানুষের মৃত্যু
বাংলাদেশে একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে – বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২ দশমিক ৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)।
মেগাসিটি ঢাকা দীর্ঘদিন ধরে ভুগছে বায়ু দূষণে। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদফতর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো: ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলো।
বর্তমানে শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে, নির্মাণ কাজ, রাস্তার ধুলা ও অন্যান্য উৎস থেকে দূষিত কণার ব্যাপক নিঃসরণের কারণে ঢাকা শহরের বাতাসের গুণমান দ্রুত খারাপ হতে শুরু করে।
]]>