বিনোদন

বিএসএমএমইউতে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর

<![CDATA[

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এনাটমি বিভাগের কাছে দেশ বরেণ্য স্থপতি মোবাশ্বের হোসেনের (৭৯) মরণোত্তর দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে এ মরণোত্তর দেহ গ্রহণ করেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

তিনি মোবাশ্বের হোসেনের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং মরদেহে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এরপর মরদেহ সংরক্ষণ, শিক্ষণ-প্রশিক্ষণ ও গবেষণার কাজে ব্যবহারের অনুমতিপত্রটি এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করেন।

এ ধরনের মহৎ উদ্যোগের প্রশংসা এবং মরণোত্তর দেহদানকারী নিকটাত্মীয়সহ পরিবারের সবাইকে এ ত্যাগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন উপাচার্য।

তিনি দেশের সব মানুষের প্রতি এ রকম মহতী কাজে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

আরও পড়ুন: স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন আর নেই

 মো. শারফুদ্দিন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এনাটমি বিভাগের দেহ সংরক্ষণ, পরীক্ষণ এবং গবেষণাগার সর্বাধুনিক। আমাদের এখানে যাদের দেহদান করা হয়েছে, তাদের স্বজনদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান জানানো হবে। মরণোত্তর দেহদানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে এটিকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’

প্রয়াতের ছেলে সাঈদ হোসেন তমাল বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তারা সর্বস্ব ত্যাগ করে মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছিলেন। বহু মুক্তিযোদ্ধা পরবর্তী সময়ে সাধারণ হিউম্যান হয়ে গেছেন। তিনি সাধারণ হিউম্যান হতে পারেননি। তিনি দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে গেছেন। চিকিৎসাবিজ্ঞানে অবদানের জন্য তিনি তার দেহদান করে গেছেন।

এনাটমি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. লায়লা আনজুমান বানুর পরিচালনায় এবং এনাটমি বিভাগের শিক্ষক, কর্মচারী ও রেসিডেন্টদের অংশগ্রহণে মরদেহের যথোচিত সম্মান ও পবিত্রতা রক্ষার জন্য শপথ গ্রহণ করা হয়।

ডা. লায়লা আনজুমান বানু জানান, এনাটমি বিভাগের নবনির্মিত মরচুয়ারি, প্ল্যাস্টিনেশন ল্যাব, স্কিল ল্যাব অ্যান্ড মিউজিয়াম কমপ্লেক্সে গবেষণা প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে। এ প্রক্রিয়া শেষ হতে এক মাসের বেশি সময় লাগবে।

মোবাশ্বের হোসেনের পরিবারের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন তার ছেলে সাঈদ হোসেন তমাল, মেয়ে সোনিয়া কৃষ্টি, ভাগিনা ও সহকর্মীরা। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ছিলেন উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছায়েফ আহমদ প্রমুখ। 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!