বিনোদন

বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে আসতে কোনো বাধা থাকছে না

<![CDATA[

বিদেশি পর্যটকদের বাংলাদেশে পর্যটন ভিসা নিয়ে আসতে আর কোনো বাধা থাকছে না। তারা যেকোনো সময় চাইলেই বাংলাদেশে আসার পরিকল্পনা করতে পারেন।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পর্যটন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।

তিনি বলেন, ‘করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ দিন ধরেই বাংলাদেশে আসতে ইচ্ছুক বিদেশিদের ভিসা দেয়া বন্ধ ছিল। তবে আজ (সোমবার) থেকে বিদেশি পর্যটক আসার বিধিনিষেধ তুলে নেয়া হলো।’

আরও পড়ুন: ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে দেশের পর্যটন খাত বিকশিত হচ্ছে না’

মঙ্গলবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উদ্‌যাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশেনের নানা কর্মসূচি নিয়ে কথা বলেন তিনি। এদিন খাদ্য উৎসব, লাইভ কুকিং শো ও হোটেল-মোটেলের আবাসনে ৩০ শতাংশ ছাড়সহ নানা কর্মসূচি দিয়েছে পর্যটন করপোরেশন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বর্তমান সরকার পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে আন্তরিকভাবে কাজ করছে। পর্যটন শিল্পে করোনার কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ও টেকসই পর্যটন উন্নয়ন নিশ্চিতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, করোনার প্রভাবে দেশের পর্যটন শিল্পের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা, সংকট থেকে উত্তরণের উপায় ও ভবিষ্যতে প্রতিযোগিতামূলক পর্যটন বাজারে সুবিধা অর্জনের জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এরইমধ্যে একটি ‘ট্যুরিজম রিকভারি প্ল্যান’ নিয়েছে। এই পরিকল্পনায় উল্লেখিত কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য ২০টি গাইডলাইন প্রস্তুত করেছে ও সেই অনুযায়ী কাজ করছে। যার ফলে এরইমধ্যে পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। গতি ফিরছে দেশের অভ্যন্তরীণ পর্যটন শিল্পে।

‘রিথিংকিং ট্যুরিজম’ বা পর্যটনে নতুন ভাবনা প্রতিপাদ্যে এ বছর পালিত হবে বিশ্ব পর্যটন দিবস।

আরও পড়ুন: করোনা ও বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে সিলেটের পর্যটনশিল্প

দিবসটি পালন উপলক্ষে পর্যটন ভবন থেকে বর্ণাঢ্য র‍্যালির আয়োজন ছাড়াও পর্যটন করপোরেশনের হোটেল, মোটেলগুলোতে রাত্রীযাপনের ওপর ৩০ শতাংশ ডিসকাউন্ট থাকবে। সকাল ৭টা থেকেই পর্যটন ভবনের নীচতলার উন্মুক্ত স্থান ও সম্মুখে রাস্তার আইল্যান্ডে খাবারের স্টলগুলোতে সংস্থার বিভিন্ন রেস্তোরাঁয় পরিবেশিত খাবারের বৈচিত্র্যময় রেসিপি ও দেশের ঐতিহ্যবাহী নানা রকম খাবার, পানীয় ও পিঠা-পায়েস ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মেন্যুও এতে উপস্থাপিত হবে। এই খাদ্য উৎসবটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং খাবারগুলো স্বল্পমূল্যে বিক্রয় করা হবে। আরও থাকবে লাইভ কুকিং শো।

এছাড়াও বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে পর্যটন করপোরেশনের ভ্রমণ ইউনিট স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে ৩টি সিটি ট্যুরের আয়োজন করেছে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!