বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় নতুন নজির
<![CDATA[
মরুর বুকে দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের মঞ্চে ক্ষণে ক্ষণে বদলেছে রং। নাটকীয় গ্রুপপর্বের পর শুরু হয়ে গেছে শেষ ষোলোর রোমাঞ্চ।
এবার নকআউট পর্বে নতুন এক নজির তৈরি হলো কাতার বিশ্বকাপে। এই প্রথমবার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে উঠেছে সব মহাদেশের দল। আগের কোনো বিশ্বকাপে এমটা হয়নি।
কাতারে চরম নাটকীয়তা আর টানটান উত্তেজনার অনেক রুদ্ধশ্বাস লড়াই দেখল ফুটবলবিশ্ব। অঘটনের বিশ্বকাপে আকাশসমান প্রত্যাশা নিয়ে এসেও খালি হাতে ফিরেছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানি, দুবারের চ্যাম্পিয়ন উরুগুয়ে ও গেল আসরের সেমিফাইনালিস্ট বেলজিয়ামের মতো দল। এবার গ্রুপপর্বে অঘটন হয়েছে ৭টি ম্যাচে।
অঘটনের বিশ্বকাপে গ্রুপপর্বের লড়াই শেষে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) শুরু হয়েছে নকআউট পর্বের লড়াই। এই লড়াইয়ের জন্য সব মহাদেশের দল যোগ্যতা অর্জন করেছে। এমন ঘটনা বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথমবার ঘটল।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা ও নেদারল্যান্ডসে মিলেছে কাশেফের ভবিষ্যদ্বাণী, রোববার জিতবে কারা
এ ঘটনাকে বিশ্ব ফুটবলের সাম্য বলে বর্ণনা করেছেন বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রণ সংস্থার (ফিফা) ‘গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচির প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। সারা বিশ্বে ফুটবলের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে পরিকল্পনা করেন ইংলিশ ক্লাব আর্সেনালের এই সাবেক কোচ।
আরও পড়ুন: আর্জেন্টিনা-নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে ‘দুঃখ’ প্রকাশ স্ক্যালোনির
এবার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় সব মহাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, ফিফার এই প্রকল্পের সাফল্য হিসেবেই দেখছেন ওয়েঙ্গার। তিনি বলেন, ‘বিশ্বকাপের গ্রুপপর্বের খেলা থেকে বোঝা যায়, আরও অনেক দেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য তৈরি। সেই দক্ষতা অর্জন করতে পেরেছে। ভালো প্রস্তুতি এবং প্রতিপক্ষের খেলার উন্নত বিশ্লেষণের ফলেই সম্ভব হয়েছে। প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। এই বিষয়টা বিশ্বব্যাপী ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়াতে ফিফার প্রচেষ্টার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ।’
]]>




