বিশ্বকাপে নিজের ব্যবহারের জন্য অনুতপ্ত মেসি
<![CDATA[
কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসি যে আচরণ করেছিলেন, তাতে অনুতপ্ত হয়েছেন তিনি। সে দিন নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গাল ও এক খেলোয়াড়ের বিপক্ষে অগ্নিমূর্তি ধারণ করেছিলেন মেসি। তবে সে সময়ে ও রকম আচরণ করা ঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন ফুটবলের এই খুদে জাদুকর।
গত বছরের ৯ ডিসেম্বর কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে মুখোমুখি হয় নেদারল্যান্ডস ও আর্জেন্টিনা। ম্যাচটিতে ৭৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন লিওনেল মেসি। আর তারপরেই কানের দুইপাশে হাত উচিয়ে ডাচ কোচের সামনে দৌঁড়ে গিয়ে গোল উদযাপন করেন তিনি। সে সময়ে জোরে চিৎকারও করেন তিনি। খেলা শেষে মেসি দাবি করেছিলেন, লুই ফন গাল খেলার আগে অনুমানের ওপরে কথা বলে আর্জেন্টিনাকে অসম্মান করেছিলেন।
আরও পড়ুন: মেসিকে আদর করে চুমু দিতে বললেন রিকেলমে
ওই ঘটনায় মেসি বলেন, ‘খেলার আগে ফন গাল যা বলেছিলেন, তা আমাকে ভালো খেলতে অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। তবে সে দিন আমি যা করেছি, সেগুলো করা আমার উচিত হয়নি। ওই সময়ে অনেক উদ্বিগ্ন ছিলাম। খুব দ্রুত সময়ে ঘটনাগুলো ঘটেছে। আমি বুঝে উঠতে পারিনি।’
কোয়ার্টার ফাইনালের সেই ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমে কথা বলার সময়ে নেদারল্যান্ডসের খেলোয়াড় ওয়েট ওয়েঘর্স্টের উপরেও চোটেছিলেন মেসি। তবে সবমিলিয়ে মেসি বলেছেন, সেগুলো করা তার ঠিক হয়নি। অবশ্য সে দিনের ওই ঘটনার শুরু হয়েছিল নেদারল্যান্ডসের কোচ লুই ফন গালের হাত ধরেই।
ম্যাচের আগে ফন গাল বলেছিলেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে মেসি বলই স্পর্শ করতে পারেনি। তবে সে বার আমরা হেরে গেছিলাম, এবার মেসিকে বল স্পর্শ থেকে দূরে রাখার পাশাপাশি হারের প্রতিশোধ নিতে চাই।’ মূলত ফনের এমন কথাতেই অগ্নিমূর্তি ধারণ করেন মেসি।
এ বিষয়ে আর্জেন্টিনার সাবেক খেলোয়াড় রিকেলমে বলেছেন, ‘আমার মনে হয় ফন গাল মেসিকে নিয়ে কিছু বলেছিলেন। এ রকম কথা ফুটবলে বলা উচিত নয়। তার উচিত হয়নি মেসিকে রাগানো। মেসিকে জড়িয়ে ধরে, আদর করে চুমু দেয়া উচিত। তাতে মেসি রেগে যাবে না এবং আপনার দলকে হারাতে চাইবে না। কিন্তু আপনি যখন তাকে রাগিয়ে দেবেন, তখন সে রেগে লাল কার্ড না খেয়ে ম্যাচ জিতে নেবে।’
আরও পড়ুন: ম্যারাডোনা থাকলে তার হাত থেকেই শিরোপা নিতেন মেসি!
কাতার বিশ্বকাপের সেই ম্যাচে ২-২ গোলে খেলা ড্র হলে টাইব্রেকারে জয় পায় আর্জেন্টিনা। সেমিতে আলবিসেলেস্তেরা ক্রোয়েশিয়াকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। আর শেষ পর্যন্ত ফ্রান্সকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ৩৬ বছরের আক্ষেপ ঘুচিয়ে শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
]]>