বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আইএমএফের আশঙ্কা
<![CDATA[
চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতির সংকট আরও বাড়বে, এ বছরই প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক দুই শতাংশে নেমে যাবে। এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
তবে সেই শঙ্কা থেকে মুক্তি পেতে বাংলাদেশের জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে, মূল্যস্ফীতি যত সম্ভব নিয়ন্ত্রণে রেখে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষা দেয়ার পরামর্শ বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদের।
মহামারি করোনার ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। এর প্রভাবে ওলটপালট হয়ে গেছে বিশ্ব অর্থনীতির হিসেব নিকেশ। এতে গত বছরের তুলনায় গোটা বিশ্বের প্রবৃদ্ধি নেমে আসবে অর্ধেকে। জ্বালানির অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে অস্থির পণ্য বাজারের জন্য খুব বেশি সুখবর বার্তা দেয়নি আইএমএফ। আর তাই ২০২২ সালে বিশ্ব মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে প্রায় ৯ শতাংশে।
আরও পড়ুন: ঋণ পরিশোধের সক্ষমতা আছে বাংলাদেশের: গভর্নর
আইএমএফের প্রধান অর্থনীতিবিদ পিয়েরে ওলিভিয়ার গৌরিংচাস বলেন, ডলারের শক্তিশালী অবস্থা ছোট অর্থনীতির দেশগুলোকে ভোগাচ্ছে।
তবে, সংকটে পড়ে তুলনামূলক গরীব দেশগুলোকে আরও সহায়তা দেয়া ও ঋণ আদায়ে ছাড় দেয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানান বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।
তিনি আরও বলেন, আমরা সাম্প্রতিক সময়ে ঋণে জর্জরিত দেশগুলোকে নিয়ে ভাবছি। এখান থেকে তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। জি-২০ জোট ভুক্তদেশের প্রতিনিধিদের বৈঠকেও আমি বিষয়টি বলেছি। কীভাবে ঋণ দাতা ও ঋণ গ্রহীতা দেশগুলো ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারে তার উপায় খোঁজা হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের ভাইস প্রেসিডেন্ট জুনায়েদ কামাল আহমেদ বলেন, এখনও স্বস্তিতে আছে বাংলাদেশ, তবে তা ধরে রাখতে সরকারকে আরও জনমুখী উদ্যাগ নিতে হবে।
শিক্ষা-স্বাস্থ্য অবকাঠামোসহ বেশ কয়েকটি খাতে বিশ্বব্যাংকের বিনিয়োগ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ।
প্রায় ৩ বছর পর সশরীরে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বার্ষিক সাধারণ সভা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে চলছে। সোমবার (১০ অক্টোবর) শুরু হওয়া ৭ দিনের বৈঠকে অংশ নিতে সদস্যভুক্ত ১৮৮ দেশ থেকে আসা প্রতিনিধিদের আগ্রহ ছিল দেখার মতো। তাই রেজিস্ট্রেশন বুথের সামনে অংশগ্রহণকারীদের দীর্ঘ অপেক্ষা দেখা গেছে।
]]>