বিনোদন

বিশ্ব মান দিবসের বিবর্তন ও ইতিহাস

<![CDATA[

১৯৭০ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্ব মান দিবস পালন শুরুর উদ্যোগ নেন ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের (আইএসও) তৎকালীন সভাপতি ফারুক সানতার। এর আগে ১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে বিশ্বের ২৫টি দেশের প্রতিনিধিরা একত্রিত হয়ে মান প্রণয়ন কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করতে আন্তর্জাতিক মান সংস্থা সৃষ্টির লক্ষ্যে সম্মত হন। এর এক বছর পর ১৯৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন বা আইএসও। মূলত ১৯৪৬ সালে লন্ডনের ওই বৈঠককে স্মরণীয় করে রাখতে ১৪ অক্টোবরকে বেছে নেয়া হয় বিশ্ব মান দিবস হিসেবে।

মান দিবস পালনের উদ্দেশ্য

জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মান প্রণয়নে সবার সম্মিলিত উদ্যোগকে স্বীকৃতি দিতে প্রতিবছর আইএসও কর্তৃক বিশ্ব মান দিবস উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। আইএসও সদস্যভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) উদ্যোগে বাংলাদেশেও দিবসটি উদ্‌যাপন করা হয়ে থাকে। বিশ্ব অর্থনীতি ও মানবজীবনে মান প্রমিতকরণের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করাই বিশ্ব মান দিবসের অন্যতম লক্ষ্য।

মান কী?

সাধারণভাবে মান সম্পর্কে বলা যায়, ক্রেতাদের প্রত্যাশা পূরণে সক্ষমতাই হলো মান। অন্যভাবে বলা যায়, মান বলতে পণ্যের নির্দিষ্ট গুণগত বৈশিষ্ট্যসমূহকে বোঝায়, যা ভোক্তা বা ক্রেতাদের চাহিদা মেটায়, সন্তুষ্টি বিধান করে এবং যার উপযোগিতা বা কার্যকারিতা ভোগকারী বা ক্রেতাদের কাছে প্রত্যাশার সমান বা তার চেয়ে বেশি। পণ্যের এসব গুণগত বৈশিষ্ট্যের মধ্যে আছে: পণ্যের সাইজ, পণ্যের ডিজাইন, ফিনিশিং, রং, উপাদান টেকসই ক্ষমতা, পণ্যের উপাদানের বিশুদ্ধতা ইত্যাদি। অর্থাৎ পণ্যের প্রকৃতি, আকার, উপাদান, কর্মক্ষমতা, কার্যকারিতা, সঠিকতা, সম্পূর্ণতা, রং ইত্যাদি বৈশিষ্ট্যের সমষ্টিকে পণ্যের মান বলা হয়।

সাধারণত মানকে পণ্য বা সেবার গুণাগুণ হিসেবে মনে করা হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে মান বলতে কোনো বস্তুর অন্তর্নিহিত বৈশিষ্ট্যাবলিকে বোঝায়, যা মানুষের ব্যক্ত ও অব্যক্ত প্রয়োজন বা চাহিদার সন্তুষ্টি বিধান করতে পারে।

প্রকৃতিতে প্রাপ্ত যেকোনো পণ্যের প্রাকৃতিক কিছু গুণ থাকে। যে গুণ মানুষের প্রয়োজন মেটাতে পারে। যখন কোনো পণ্য বা সেবা প্রস্তুত করা হয়, তখন তাতে মানুষের চাহিদা মেটাতে পারে এমন গুণ যুক্ত করে প্রস্তুত করা হয়। এই গুণই হলো মান। পণ্যের মানের মধ্যে মানুষের চাহিদা, ভবিষ্যৎ প্রত্যাশা, পরিবেশবান্ধব এবং শ্রমবান্ধব প্রক্রিয়া ও কার্যপরিবেশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  পণ্যের মান নেই তো নিরাপত্তা নেই

প্রাচীন বিশ্বে মানের ধারণা

খ্রিষ্টের জন্মের হাজার বছর আগেও বিশ্বে মানের ধারণা প্রচলিত ছিল। প্রাচীন মিশরে পিরামিডের প্রায় প্রতিটি পাথরখণ্ডেরই দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ ছিল প্রায় একই মাপের। ওল্ড টেস্টামেন্ট বা তোরাহ বা তাওরাতেও পাওয়া যায় মানের ধারণা। সেখানে বলা হয়, ‘দৈর্ঘ্য, ওজন এবং পরিমাপে অসাধু মান অবলম্বন করো না। লেনদেনের সময় সঠিক মাপ ও বাটখারা ব্যবহার কর।’

খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে চীনের কিন বংশীয় প্রথম সম্রাট কিন শি হুয়াং যখন সমগ্র চীনকে একটি একক সাম্রাজ্যের অধীন নিয়ে আসেন, তখন পুরো সাম্রাজ্যে পণ্যের ওজন ও পরিমাপের ক্ষেত্রে অভিন্ন মান বা পরিমাপ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটান। পণ্য পরিমাপ ও ওজনের পদ্ধতি, মুদ্রার মান এমনকি বলদ টানা গাড়ির অ্যাক্সেলের মাপ পর্যন্তও নির্ধারিত ছিল সে সময়।

রোমানদের সময়ে ওজন, মুদ্রা, পরিমাপ এমনকি ব্যবহৃত রঙের ক্ষেত্রেও ছিল নির্দিষ্ট মানের প্রয়োগ। মধ্যযুগে ইংল্যান্ডের রাজা হেনরি প্রথম নিজের বাহুর সমান একটি পরিমাপের একক প্রচলন করেন যাকে বলা হতো এল হিসেবে।

মধ্যযুগে মানের ধারণা

তবে মধ্যযুগ পর্যন্ত ইউরোপে কোনো একক বা অভিন্ন পরিমাপ ব্যবস্থার প্রচলন ঘটেনি। কারণ, তখন ইউরোপ ছিল বিভিন্ন রাজ্য ও সাম্রাজ্যে বিভক্ত, তাদের ভাষা, পরিমাপ পদ্ধতি ও বিনিময় ব্যবস্থাও ছিল ভিন্ন ভিন্ন। আবার একই অঞ্চলে পরিমাপের জন্য অবলম্বন করা হতো ভিন্ন ভিন্ন পদ্ধতির। যেমন, জার্মানির বাডেন অঞ্চলে দৈর্ঘ্যের পরিমাপের ক্ষেত্রে ১২২টি আলাদা আলাদা মান ছিল। আর ওজন পরিমাপের ছিল ৮০টি ভিন্ন ভিন্ন উপায়। তবে পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় রেনেসাঁ-পরবর্তী ইউরোপের শিল্পবিপ্লবের যুগে।
শিল্পবিপ্লবের পথ ধরে মানের বিবর্তন কালের বিবর্তনে বিভিন্ন সমাজে এবং বিভিন্ন সভ্যতায় বিভিন্ন ধরনের মানের ধারণা বিরাজ করলেও শিল্পবিপ্লবের সময় মানের একটি সমন্বিত ধারণার প্রয়োজন দেখা দেয়। এ সময় বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ও বিজ্ঞানের নতুন নতুন আবিষ্কারের ভিত্তিতে ব্যাপক হারে শিল্প উৎপাদন হতে থাকে। ফলে উৎপাদনের প্রক্রিয়াকে নির্ভুল ও মসৃণ করতে প্রয়োজন হয় এমন মানের, যা উৎপাদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান বা সমাজের সবার জন্য সহজে বোধগম্য এবং ব্যবহারযোগ্য হয়।

যেমন রেলওয়ে আবিষ্কারের পর অভিন্ন মান ও পরিমাপের প্রয়োজন দেখা দেয় পশ্চিমা বিশ্বে। কারণ, রেলের পাত, রেলপথের মধ্যবর্তী কাঠের পাটাতন, বগি এবং ট্রেনের চাকাসহ অন্যান্য যন্ত্রাংশের জন্য নির্দিষ্ট মান ও পরিমাপ পদ্ধতির প্রয়োজন হয়।

আধুনিক সমরশিল্পের প্রয়োজনে মানের বিকাশ

অষ্টাদশ শতাব্দীকে বলা হয় শিল্পবিপ্লবের যুগ। আবার এ সময় বিশ্বে, বিশেষ করে ইউরোপের দেশে দেশে যুদ্ধ লেগেই থাকত। এসব যুদ্ধের প্রয়োজনীয় সমরাস্ত্র নির্মাণেও এসে লাগে শিল্পবিপ্লবের ঢেউ। এ সময় ব্রিটিশ ও ফরাসিরা তাদের বন্দুকের কারখানায় তৈরি হাজার হাজার বন্দুকের বিভিন্ন যন্ত্রাংশের ক্ষেত্রে অভিন্ন মান ও পরিমাপের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে। আবার সে সময়কার যুদ্ধ পরিস্থিতিও বাস্তবক্ষেত্রে আধুনিক মানের ধারণাটিকে প্রতিষ্ঠিত করে। কারণ, যুদ্ধ পরিস্থিতির সময় বিশাল সেনাবাহিনীর রসদ খাদ্য ও যুদ্ধাস্ত্রের হিসাবের জন্য রাষ্ট্রগুলোর প্রয়োজন হতো অভিন্ন পরিমাপ ব্যবস্থার।

যেমন, মার্কিন গৃহযুদ্ধে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর বিরুদ্ধে ইউনিয়ন বাহিনীর জয়লাভের অন্যতম কারণ হিসেবে বিবেচনা করা হয় ইউনিয়ন বাহিনীর অভিন্ন মাপ বা গজের রেলওয়ে লাইনকে। কারণ, এর মাধ্যমে সহজেই ইউনিয়ন বাহিনী তার সেনাসহ রসদ ও যুদ্ধাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে পৌঁছাতে পেরেছিল। পক্ষান্তরে দক্ষিণের রাজ্যগুলোর একেক এলাকায় ছিল একেক মাপের রেলপথ। যে কারণে যুদ্ধক্ষেত্রে সেনা ও রসদ পৌঁছাতে বেগ পেতে হতো তাদের। যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরের আগুন ও মানের প্রয়োজনীয়তা ১৯০৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাল্টিমোরে সংঘটিত একটি ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডও আধুনিক বিশ্বে মানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি প্রতিষ্ঠিত করে। সে সময় বাল্টিমোর শহরে সংঘটিত হয় এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের। আগুনের খবর পেয়ে আশপাশের নিউইয়র্ক, ফিলাডেলফিয়া এবং রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে অগ্নিনির্বাপকরা সেখানে জড়ো হন আগুন নেভানোর জন্য। কিন্তু দেখা যায় তাদের ফায়ার হোসপাইপগুলো ভিন্ন ভিন্ন মাপের। ফলে বাল্টিমোরের অগ্নিপ্রতিরোধী পদার্থের ট্যাংকগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা সম্ভব হয়নি তাদের ফায়ার হোসগুলোর। মূলত এই শিক্ষার পরপর দেশজুড়ে বিভিন্ন বস্তু ও পণ্যের জন্য অভিন্ন মান প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেয় যুক্তরাষ্ট্র। এর পথ ধরে ১৯০৪ সালে স্থাপিত হয় আমেরিকান ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইনস্টিটিউট। অবশ্য এর কয়েক বছর আগে ১৯০১ সালে ব্রিটেনে প্রতিষ্ঠিত হয় ইঞ্জিনিয়ারিং স্ট্যান্ডার্ড কমিটি বা ইএসসি। ১৯৩১ সালে যার নামকরণ হয় ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন নামে।

আধুনিক মান নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানের উৎপত্তি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পৃথিবীতে উদ্ভব হয় নতুন এক বিশ্বব্যবস্থার, যার মূল চালিকাশক্তি ছিল পারস্পরিক বাণিজ্য। এ সময় গঠিত হয় বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের মতন আন্তর্জাতিক সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৬ সালের ১৪ অক্টোবর লন্ডনে কমনওয়েলথ স্ট্যান্ডার্ড কনফারেন্স নামে মানবিষয়ক এক সম্মেলনের আয়োজন করে ব্রিটিশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন। যার পথ ধরে ১৯৪৭ সালে গঠিত হয় ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজেশনের (আইএসও)।

 

আরও পড়ুন:  বন্ড মার্কেটে কমবে খেলাপি ঋণ, সহজ হবে শিল্পে অর্থায়ন

 

বাংলাদেশে মান সংস্থার ইতিহাস

এ উপমহাদেশে জাতীয় মান সংস্থার পদচারণা শুরু হয়েছিল ১৯৪৬ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ ভারতে ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট বা আইএসআই-এর স্থাপনের মাধ্যমে। ১৯৪৭ সালে ঔপনিবেশিক শাসনের অবসানের পর ১৯৫৬ সালে ঢাকায় সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরি বা সিটিএল নামের একটি মান প্রণয়নকারী সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়। এর দুই বছর পর ১৯৫৮ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের করাচিতে পাকিস্তান স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউট বা পিএসআই প্রতিষ্ঠিত হয়। ঢাকায় পিএসআই-এর অফিস প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৩ সালে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে পিএসআইয়ের নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় বিডিএসআই।

স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে সিটিএল এবং বিডিএসআই দুটি সংস্থা্ই আলাদা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজ নিজ ক্ষেত্রে দায়িত্বরত থাকে। ১৯৮৩ সালের ১৬ মে তৎকালীন সরকার সরকারি প্রতিষ্ঠান সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরি বা সিটিএল ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন বা বিডিএসআইকে একীভূত করার সিদ্ধান্ত নেয়।

১৯৮৫ সালের ২৫ জুলাই বাংলাদেশ সরকারের জারি করা এক অধ্যাদেশবলে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস ইনস্টিটিউশন এবং সেন্ট্রাল টেস্টিং ল্যাবরেটরিকে একীভূত করে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআই গঠিত হয়। পরবর্তী সময়ে ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন কৃষিপণ্য বিপণন ও শ্রেণিবিন্যাস পরিদফতরটিও বিএসটিআইয়ের সঙ্গে একীভূত করা হয়। বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন বিএসটিআই একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। বিএসটিআইয়ের পরিচিতি বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন বা বিএসটিআই বাংলাদেশের জাতীয় মান সংস্থা। বিএসটিআই দেশে উৎপাদিত এবং আমদানি করা যাবতীয় শিল্প পণ্য, খাদ্যপণ্য ও রাসায়নিক দ্রব্যের মান প্রণয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং মানের নিশ্চয়তা বিধানসহ সারা দেশে ওজন ও পরিমাপের মেট্রিক পদ্ধতি প্রচলন ও বাস্তবায়নের দায়িত্ব পালন করে আসছে। ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট একটি কাউন্সিল বিএসটিআইয়ের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক পরিষদ। শিল্প মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী কাউন্সিলের সভাপতি, প্রতিমন্ত্রী ও শিল্পসচিব সহসভাপতি এবং বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক (যিনি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীও বটে) কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব পালন করেন।

বিএসটিআইয়ের দায়িত্ব

দেশের একমাত্র জাতীয় মান সংস্থা হিসেবে বিএসটিআইয়ের মূল দায়িত্ব হচ্ছে: দেশে উৎপাদিত এবং আমদানি করা যাবতীয় শিল্পপণ্য, রাসায়নিক দ্রব্য, বৈদ্যুতিক ও প্রকৌশল পণ্য, টেক্সটাইল, খাদ্য ও কৃষিজাত পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন।

প্রণীত মানের ভিত্তিতে পণ্যসামগ্রীর গুণগত মান পরীক্ষণ/বিশ্লেষণ এবং পরিদর্শনের মাধ্যমে পণ্যের গুণগত মানের সার্টিফিকেশন প্রদান। ন্যাশনাল মেট্রোলজি ল্যাবরেটরিতে স্থাপিত ইন্টারন্যাশনাল সিস্টেম ইউনিটের ন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেশের সব ল্যাবরেটরি, শিল্পকারখানা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং হাটবাজারে ব্যবহৃত ওজন ও পরিমাপক যন্ত্রপাতির ধারাবাহিক সূক্ষ্মতা নিশ্চিতকরণ। এবং ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম সার্টিফিকেশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন।

বিএসটিআইয়ের কার্যক্রম মোট ছয়টি উইংয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। উইং গুলো হলো: মান উইং, সিএম উইং, মেট্রোলজি উইং, রসায়ন পরীক্ষণ উইং, পদার্থ পরীক্ষণ উইং ও প্রশাসন উইং। বিএসটিআই’র প্রধান কার্যালয় ১১৬/ক, তেজগাঁও শিল্প এলাকা, ঢাকায় অবস্থিত। তা ছাড়াও বিভাগ/জেলা পর্যায়ে বিএসটিআই’র আঞ্চলিক অফিস রয়েছে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!