বিস্কুট খাওয়ায় শিশুকে পিটিয়ে হাসপাতাল পাঠাল দোকানি
<![CDATA[
মাদারীপুরে মাত্র ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট খাওয়ায় ৪র্থ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেঁধে পাশবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দোকানদারের বিরুদ্ধে।
সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে সদর উপজেলার মোস্তফাপুর ইউনিয়নের নাওহাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত লিয়ন ওই গ্রামের দুলাল ফকিরের ছেলে। অভিযুক্ত মান্নান খাঁ একই গ্রামের সুরাত খানের ছেলে।
আহত শিশুর স্বজনরা জানায়, ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট খাওয়ার অপরাধে বেদম মারধর করবে এমনটা জানা ছিল না ১০ বছরের অবুঝ শিশু লিয়নের। হাসপাতালে বিছানায় ব্যথার যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে হতদরিদ্র ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটি।
স্বজনদের অভিযোগ, সোমবার বিকেলে মাদারীপুর সদর উপজেলার তাঁতিবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে বন্ধু আমিনের সঙ্গে বাড়ির পাশের দোকানে যায় লিয়ন। দোকানি না থাকায় দুই বন্ধু মিলে ৫ টাকা দামের একটি বিস্কুট নিয়ে খেতে শুরু করেন। মুহূর্তেই দোকানি মান্নান খাঁ চলে আসলে, চুরির অপবাদ দিয়ে লিয়নকে কাঠ দিয়ে বেদম মারধর করে। পরে নিয়ে যাওয়া হয় মান্নানের বাড়িতে। সেখানে রশি দিয়ে দুই হাত বেঁধে শিশুটির ওপর চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। লিয়নের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন ওই দোকানি। পরে ওই শিশুকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন: গৃহবধূকে আটকে রেখে নির্যাতন, ৯৯৯-এ ফোন পেয়ে উদ্ধার
লিয়নের ফুফা সবুজ হাওলাদার বলেন, একটি বিস্কুটের জন্য এমন নির্যাতন খুবই কষ্টদায়ক। দোকান থেকে মারতে মারতে টেনে-হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাড়িতে। সেখানেও চালানো হয় পাশবিক নির্যাতন। এ ঘটনার কঠিন বিচার চাই।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. আবু সফর হাওলাদার বলেন, শিশুটির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসা চলছে।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহীন আলম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। সামান্য একটি বিস্কুটের জন্য শিশুর ওপর নির্যাতন জঘন্য অপরাধ। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে ঘটনার পর পলাতক রয়েছে অভিযুক্ত মান্নান খাঁ। এ ব্যাপারে জানতে তার মোবাইলে কল করেও উত্তর মেলেনি।
]]>