বিনোদন

বেদুঈনদের তাঁবুর আদলে নির্মিত স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ

<![CDATA[

আরব বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ আয়োজন করেছে কাতার। প্রথমবার শীতকালে হতে চলা বিশ্বকাপ নানা কারণে আগের আসরগুলোর চেয়ে আলাদা। এই বিশ্বকাপের প্রতিটি স্টেডিয়ামে, ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটিজে, ফ্যানজোনে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রিত রাখতে সৌরবিদ্যুত চালিত পাওয়ারকুলিং টেকনোলজি ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবেশবান্ধব ৮টি ভেন্যুতে হবে কাতার বিশ্বকাপের ৬৫টি ম্যাচ।

তিরিশ লাখ মানুষের দেশ কাতারে বিশ্বকাপ উপলক্ষে প্রস্তুত করা হয়েছে বেশ কিছু স্টেডিয়াম। বিশ্বকাপের স্টেডিয়ামগুলো এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে, পরবর্তীকালে যেন সেগুলো পুনর্গঠন করা সম্ভব হয়। বিশ্বকাপের পর প্রায় এক লাখ ৭০ হাজার আসন এই স্টেডিয়ামগুলো থেকে খুলে উন্নয়নশীল দেশের ক্রীড়ার উন্নয়নের জন্য সাহায্য হিসেবে পাঠানো হবে।

কাতারের রাজধানী দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার উত্তরে আল খোর শহরে নির্মাণ করা হয়েছে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচের ভেন্যু আল বায়েত স্টেডিয়ামটি। স্বাগতিক কাতার ও ইকুয়েডরের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে রোববার (২০ নভেম্বর) এই স্টেডিয়ামে পর্দা উঠবে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থের। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের পর সবচেয়ে বেশি আলোচিত এ স্টেডিয়ামটি।

কাতার বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচটি ছাড়াও এই স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে গ্রুপ পর্বের আরও চারটি ম্যাচ। এছাড়া শেষ ষোলোর একটি, কোয়ার্টার ফাইনালের একটি ও সেমিফাইনালের একটি ম্যাচ মিলিয়ে মোট ৯টি খেলা অনুষ্ঠিত হবে আল বায়েতে।

আরও পড়ুন: বৃষ্টির বাগড়ায় অন্য খেলা খেলল ভারত-নিউজিল্যান্ড!

আল বায়েত স্টেডিয়াম নির্মাণে আরব ও উপসাগরীয় দেশগুলোর ঐতিহ্যের কথা মাথায় রাখা হয়েছে। বেদুঈনদের ব্যবহৃত তাঁবুর আদলে নির্মাণ করা হয়েছে স্টেডিয়ামটি। কাতার ও উপসাগরীয় অঞ্চলের বেদুঈনদের ব্যবহৃত ঐতিহাসিক তাঁবু বায়েত আল শা’আর কাঠামো অনুসারে নির্মিত হয়েছে স্টেডিয়ামের কাঠামো। ৬০ হাজার দর্শক ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন স্টেডিয়ামটিতে রয়েছে ছাদ, যা বিশ্বকাপের পর সরিয়ে ফেলা হবে। ছাদ খুলে ওপরের অংশে তৈরি করা হবে একটি পাঁচ তারকা হোটেল। এছাড়া এর পাশে তৈরি করা হবে একটি শপিং সেন্টার, জিম, মাল্টিপারপাস হল আর ফুড কোর্ট। কমিয়ে ফেলা হবে আসন সংখ্যাও। ৬০ হাজার থেকে নামিয়ে আনা হবে ৩২ হাজারে।

রাজধানী দোহা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত স্টেডিয়ামটিতেই যাতায়াত সবচেয়ে কষ্টকর। তাই বিশ্বকাপ সামনে রেখে দোহা থেকে আল খোর পর্যন্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে মেট্রোরেলের।

কাতারের ঐতিহ্যের পাশাপাশি স্টেডিয়ামের নকশার ক্ষেত্রে বিবেচনায় রাখা হয়েছে প্রাণ-প্রকৃতির কথাও। তাই করা হয়েছে ব্যাপক সবুজায়ন। ভেন্যুটির আশেপাশে পার্ক, হ্রদ ছাড়াও স্টেডিয়াম থেকে সমুদ্র পর্যন্ত তৈরি করা হয়েছে দীর্ঘ সবুজ বেষ্টনী।

আরও পড়ুন: বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের দৃষ্টি কাড়তে চান রুবেল

২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর ফিফা আরব কাপের ম্যাচ দিয়ে উদ্বোধন করা হয় বিশ্বকাপ উপলক্ষে নির্মিত স্টেডিয়ামটির।

এক নজরে আল বায়েত স্টেডিয়াম:

স্বাগতিক শহর: আল খোর
সর্বোচ্চ দর্শক ধারণ ক্ষমতা: ৬০,০০০
মোট ম্যাচ: ৯টি (উদ্বোধনী ম্যাচসহ গ্রুপপর্বের ম্যাচ, শেষ-১৬, কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল)
 

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!