বেনাপোল বন্দরে বেড়েছে খাদ্যদ্রব্যের আমদানি
<![CDATA[
দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ঘাটতি মেটাতে ও রমজানে সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে খাদ্য দ্রব্যের আমদানি বেড়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে গোটা বিশ্বজুড়ে চলমান মন্দার বিরুপ প্রভাব পড়েছে দেশেও। তবে এ মন্দায় খাদ্য ঘাটতি থেকে বাচঁতে এবং আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকদের সহযোগিতায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এতে ব্যাংক এলসির সুবিধা বাড়ানোয় বেড়েছে আমদানির পরিমাণ।
এদিকে অন্যান্য সময় খাদ্যদ্রব্য আমদানির পরিমাণ দিনে ৫০ ট্রাক হলেও বর্তমানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০০ ট্রাকের কাছাকাছি। ভারত থেকে আমদানিকৃত খাদ্য দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে চাল, ডাল, চিনি, গম, ভুট্টা, পেঁয়াজ, রসুন, জিরা, আদা, আপেল, টমেটো, আঙুর, কমলা ও ডালিম। এতে স্থিতিশীল রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যের বাজার।
আরও পড়ুন: রমজানে ভোগ্যপণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বাড়বে: ট্যারিফ কমিশন
বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক জানান, খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে ব্যাংকের সহযোগিতা মিলছে। এতে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে।
এলসিতে সর্বোচ্চ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার এন্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেড এর ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, খাদ্যদ্রব্য আমদানিতে সহযোগিতার নির্দেশ দিয়েছে সরকার।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, বেনাপোল বন্দর দিয়ে গতকাল রোববার ভারত থেকে ৬৮ ট্রাক বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য আমদানি হয়েছে। আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য দ্রুত খালাসে সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
তবে ক্রেতারা জানান, খাদ্যদ্রব্যের আমদানি বাড়লেও বাজারে কমছে না পণ্যের দাম। এ জন্য সরকারকে বাজার তদারকি বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
এছাড়া বেনাপোল উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্রের উপপরিচালক সুব্রত কুমার চক্রবর্তী জানান, আমদানিকৃত খাদ্যদ্রব্য পরীক্ষা করে বন্দর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে।
]]>