বাংলাদেশ

বেলারুশে ভয়ংকর ইস্কানদার মিসাইল মোতায়েন রাশিয়ার

<![CDATA[

কৌশলগত ‘ইস্কানদার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা’ এবং ‘এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা’ বেলারুশে মোতায়েন করেছে রাশিয়া।

বেলারুশের এক সামরিক কর্মকর্তার বরাতে সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, যে উদ্দেশ্যে ভয়ংকর এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছে, তার জন্য পূর্ণ প্রস্তুত দেশটি।

বেলারুশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি বিভাগের প্রধান লিওনিড কাসিনস্কি টেলিগ্রাম মেসেজিং অ্যাপে পোস্ট করা একটি ভিডিওবার্তায় বলেছেন, ‘রাশিয়ান ফেডারেশন এবং বেলারুশ প্রজাতন্ত্রের সশস্ত্র বাহিনীর যৌথ যুদ্ধ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আমাদের সেনারা তাদের প্রশিক্ষণ সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করেছে। এ ধরনের সমরাস্ত্র (ইস্কানদার এবং এস-৪০০ সিস্টেম) আজ যুদ্ধের দায়িত্বে রয়েছে।’ 

 

আল-জাজিরা জানিয়েছে, পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম কয়টি ইস্কানদার ক্ষেপণাস্ত্র বেলারুশে মোতায়েন করা হয়েছে, তা জানা সম্ভব হয়নি। এর আগে জুনে ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছিলেন, বেলারুশে ইস্কানদার এবং আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রদান করবে মস্কো।

 

আরও পড়ুন: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বহরে যুক্ত হলো অত্যাধুনিক শোরাড মিসাইল

 

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এমন সময় বেলারুশ ইস্কানদার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েনের তথ্য জানাল, যখন ইউক্রেনে যুদ্ধে সহায়তার জন্য মস্কো বেলারুশের ওপর চাপ প্রয়োগ করছে। কিয়েভে হামলার জন্য রাশিয়া বেলারুশের মাটি ব্যবহার করছে।

 

ইস্কানদার একটি মোবাইল গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, যা সোভিয়েত-যুগের ‘স্কাড’-এর স্থলে প্রতিস্থাপিত হয়েছে। গাইডেড ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর সীমা ৫০০ কিলোমিটার (৩০০ মাইল) পর্যন্ত এবং এটি প্রচলিত বা পারমাণবিক ওয়্যারহেড বহন করতে পারে। এস-৪০০ সিস্টেম হলো একটি রাশিয়ান মোবাইল, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (স্যাম) ইন্টারসেপশন সিস্টেম, যা বিমান, ইউএভি, ক্রুজ মিসাইল এবং টার্মিনাল ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ করতে পারে।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!