বিনোদন

বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারে ৮৩ শতাংশ শিশুর জন্ম

<![CDATA[

দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৮৩ শতাংশই অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের (সিজারিয়ান বা সি-সেকশন) মাধ্যমে শিশুর জন্ম হয়।

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিংয়ের (নিপোর্ট) গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। 

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নিপোর্টের দেশব্যাপী তৃতীয় বাংলাদেশ আরবান হেলথ সার্ভে-২০২১ (বিইউএইচএস)-এর ফলাফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক সাঈদ সাহাদাত হোসেন।

জরিপটি ১১টি সিটি করপোরেশনে বস্তি, বস্তিবহির্ভূত এবং জেলা-পৌরসভা ও বড় শহরের (অন্তত ৪৫ হাজার বাসিন্দা) জনগোষ্ঠীর ওপর করা হয়েছে।

নিপোর্টের জরিপে উঠে এসেছে, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় প্রাতিষ্ঠানিক চিকিৎসাসেবা নেয়া নারীদের মধ্যে সিজারে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। ঘরের বাইরে বিভিন্ন হাসপাতাল কিংবা স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আসা অধিকাংশ শিশুর জন্মই হয়েছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে। স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মহানগরের ৭৭ শতাংশ, অন্যান্য শহরে ৭৫ শতাংশ এবং মহানগরের বস্তির ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ নারী সিজারের মাধ্যমে সন্তান জন্ম দেন। সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেসরকারি ও এনজিওভিত্তিক হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান জন্মদানের হার বেশি। বেসরকারি হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৮৩ শতাংশ প্রসবেই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এনজিওতে সিজারের হার ২৫ শতাংশ।

 

আরও পড়ুন:  বিরল রোগে জন্ম থেকেই মুখে হাসি শিশুর!

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, একটি দেশে অস্ত্রোপচারে সন্তান প্রসবের হার ১০ থেকে ১৫ শতাংশ হওয়া উচিত। তবে বাংলাদেশে সেভ দ্য চিলড্রেনের ২০১৯ সালের হিসাব বলছে, এ হার ৫১ শতাংশ। সেই হিসাবে দেশে বিশ্বব্যাপী অনুমোদিত হারের চেয়ে তিন গুণেরও বেশি শিশুর জন্ম হচ্ছে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে।

এ বিষয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বলেন, অন্তঃসত্ত্বা নারীদের প্রথম দিকে সেবা নেয়ার হার কিছুটা আশা দেখালেও চতুর্থ ধাপ খুবই হতাশাজনক। করোনা মহামারিতে কম বয়সে গর্ভধারণ বেড়েছে এটা ঠিক, কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে যে খুব একটা ভালো অবস্থা ছিল তা নয়। উপজেলা ও জেলা শহরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে বড় একটি গ্যাপ রয়েছে। এর উন্নতি জরুরি। এ বিষয়ে আলাদা পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, অন্যান্য দেশের তুলনায় অপ্রয়োজনীয় অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে শিশু জন্মের হার অনেক বেশি। চিকিৎসার জন্য অন্তঃসত্ত্বারা বেসরকারি কোনো হাসপাতালে গেলেই তাদের সিজার করা হয়। সিজার হলেই অতিরিক্ত সুবিধা। বেসরকারি হাসপাতালগুলো সবসময় ব্যবসায়িক স্বার্থ লালন করে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের স্বাভাবিক ডেলিভারি আরও বাড়াতে হবে। তাহলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমে যাবে। এ জন্য ২৪ ঘণ্টা সেবাদানের ব্যবস্থা করতে হবে।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহান আরা বানু, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!