ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে আছে রাজধানী, অতিষ্ঠ নগরবাসী
<![CDATA[
এ যেন ব্যানার, তোরণ আর ফেস্টুনের নগরী। বিদ্যুতের খুঁটি থেকে শুরু করে রোড ডিভাইডার, বাদ নেই সিগনাল বাতিও। অলিগলিতে তো বটেই, ভিআইপি সড়কেও ঝুলছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ফেস্টুন-ব্যানার। এমনকি ঈদের পরও দেয়া হচ্ছে, ঈদের শুভেচ্ছা!
শরতের বাতাসে গাছের পাতার সঙ্গে দুলছে ব্যানার। ঝুঁকি নিয়ে কোথাও ঝুলছে ফেস্টুনের কাঠ, তা-ও আবার সিগনাল বাতি ঘেঁষে। হাঁটার পথে বিপজ্জনকভাবে বেরিয়ে আছে লোহার মাথাও।
রাজধানীর পান্থপথে মূল সড়ক খুঁড়ে বসানো হয়েছে বাঁশের তোরণ। এরই মাঝে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা।
এ পথে চলাচলকারীরা বলছেন, বাঁশের তোরণের কারণে পেছনে বা সামনে কোনো গাড়ি থাকলে দেখতে অসুবিধা হয়। এতে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আবার কেউ বলছেন, হঠাৎ ওপর থেকে ব্যানার এসে গাড়িতে পড়ে। গাড়িতে না পড়ে মাথায় পড়লে তো বিপদ। যারা এ ধরনের কাজ করেন, তাদের কাণ্ডজ্ঞান থাকা উচিত।
ঈদ গেছে অনেক আগেই, কিন্তু বাংলামোটরে এখনো বিলানো হচ্ছে ঈদের খুশি।
আরও পড়ুন: বইয়ের মলাটে গাঁজার চালান, যাচ্ছিল বাহরাইন
পথচারীরা বলছেন, ঈদ চলে গেছে দু-মাস হয়েছে। সংশ্লিষ্টদের দায়িত্ব ছিল ঈদের পরই এসব অপসারণ করা। কিন্তু এসব সমস্যা নিয়ে যেন তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
এমনিতেই কংক্রিটের নগরী রাজধানী ঢাকা। ব্যস্ত নগরজীবনে নীল আকাশ দেখতে চাওয়া বিলাসিতা। শখ করেও কেউ যদি আকাশে তাকান, তার আগেই ব্যানারে-ফেস্টুনে ঘটে দৃষ্টিদূষণ।
স্থানীয়রা বলছেন, আকাশ দেখার সুযোগ নেই। তার ওপর রাস্তায় যেকোনো সময় দুর্ঘটনার ভয় থাকে।
নগরবিদরা বলছেন, ভালো কাজ করলে তা এমনিতেই ছড়িয়ে পড়ে। ব্যানার বা ফেস্টুন সাঁটানোর প্রয়োজন পড়ে না। বিশেষ করে নাগরিকের সমস্যা সৃষ্টি করে প্রচার অনর্থক।
নগর পরিকল্পনাবিদ ড. আকতার মাহমুদ বলেন, কেউ কোনো কাজ করলে সেগুলো জনগণের কাছে পৌঁছায়। কিন্তু যারা এ ধরনের প্রচার করতে চায়, তারা ভালো কাজ করুক, এমনিতেই মানুষ জানবে। এ জন্য ব্যানার বা ফেস্টুন সাঁটিয়ে নগরীতে বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টির কোনো মানে হয় না।
আরও পড়ুন: রাজধানীর যেসব এলাকায় থাকবে না লোডশেডিং
কর্তৃপক্ষ বলছে, অনুমতি ছাড়া ব্যানার-পোস্টার টাঙানো অপরাধ। তাই যারা এগুলো বসিয়েছেন তাদের অবিলম্বে তা সরানোর আহ্বান জানিয়েছে সিটি করপোরেশন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা বিজ্ঞাপন প্রচার করতে গেলে মেয়রের অনুমতি নিয়ে লাগাতে হবে। যারা এগুলো লাগান, তাদের আমরা অনুরোধ করি, এগুলো যেন যথাসময়ে সরিয়ে নেয়া হয়।’
অন্তত একটি ব্যানার বা ফেস্টুন নেই, এমন কোনো সড়ক নগরীতে খুঁজে পাওয়া কঠিন।
]]>




