বিনোদন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে ক্ষোভ

<![CDATA[

ব্রাহ্মণবাড়িয়া মুক্ত দিবসে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মিলন মেলা ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধারা অংশগ্রহণ করেন।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন, মিত্র বাহিনীর ৫৭তম মাউন্টের ডিভিশন আখাউড়া-ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেললাইন ও কুমিল্লা-সিলেট সড়কের উজানীসার সড়ক দিয়ে অগ্রসর হতে থাকে। শহরের চতুর্দিকে মুক্তিবাহিনী অবস্থান নিতে থাকায় পাকিস্তানী সেনারা পালিয়ে যাবার সময় ৬ ডিসেম্বর রাজাকারদের সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজের অধ্যাপক কে এম লুৎফুর রহমানসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে আটক অর্ধশত বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষকে চোখ বেঁধে শহরে কুরুলিয়া খালের পাড়ে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে।

আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা

তিনি বলেন, ৭ ডিসেম্বর রাতের আধারে পাকিস্তানী বাহিনী ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ছেড়ে আশুগঞ্জের দিকে পালাতে থাকে। ৮ ডিসেম্বর বিনা বাঁধায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রবেশ করে স্বাধীনতার বিজয় পতাকা উত্তোলন করে। মুক্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ওই দিন সকাল ৯টার দিকে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতার উপস্থিতিতে শহরের পুরাতন কাচারি ভবন সংলগ্ন তৎকালীন মহকুমা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের প্রধান জহুর আহমেদ চৌধুরী। একই দিন সন্ধ্যায় জেলার সরাইল উপজেলা শত্রু মুক্ত হয়।

আরও পড়ুন: কুমিল্লা মুক্ত দিবস বৃহস্পতিবার

মুক্তিযুদ্ধের পর তালিকায় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আল মামুন সরকার বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ১ লাখ ৩০ হাজার। পরবর্তীতে সেই সংখ্যা বেড়ে প্রায় ৭ লাখে দাঁড়িয়েছে। এই তালিকা কারা করেছেন। ১৯৯৪ সালের পরে যারা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের দায়িত্বে ছিলেন তারাই এই তালিকা করেছেন।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান লায়ন ফিরোজুর রহমান ওলিও, জেলা জাসদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, সদর উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরায়রাহ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী প্রমুখ।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!