ব্র্যাকের ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি করলে আইডি কার্ড বাতিলের হুমকি
<![CDATA[
ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি করলে পরিচয়পত্র বাতিল হতে পারে বলে হুমকি দিয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাকের হ্যাকার কমিউনিটি। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রকে এ বিষয়ে সতর্ক করে একটি ই-মেইল পাঠিয়েছে গ্রুপটি।
তারা জানায়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগ বা কোনো ছাত্ররাজনীতি করবেন না। কেউ ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে জড়িত হলে তার পরিচয়পত্র বাতিল হয়ে যেতে পারে।
সম্প্রতি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সম্মেলন করে প্রায় ৪০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কমিটি ঘোষণা করেছে। এর পরই বিষয়টি নিয়ে শিক্ষক, শিক্ষার্থী আর অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্ররাজনীতি কি প্রকৃত রাজনীতিবিদ তৈরি করতে পারছে?
এরই মধ্যে অনেক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতিকে নিরুৎসাহিত করেছে।
সেই ধারাবাহিকতায় ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি না করতে নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সব ছাত্রকে ই-মেইলে পাঠানো বিবৃতিতে এ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় রাজনৈতিকভাবে নিরপেক্ষ একটি প্রতিষ্ঠান এবং কোনো রাজনৈতিক ক্লাব বা সংগঠনের পৃষ্ঠপোষকতা করে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে কোনো রাজনৈতিক দলে যুক্ত হওয়া বা কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়া নিষিদ্ধ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো ধরনের সংগঠন প্রতিষ্ঠার আগে কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
আর বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বা বাইরে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিনা অনুমতিতে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম, লোগো বা স্বাক্ষর ব্যবহার করে কোনো কার্যক্রম বা কর্মসূচি করা যাবে না।
এসব কর্মকাণ্ডকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করে বলা হয়েছে, চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীকে স্থগিতাদেশ বা বহিষ্কার বা সতর্ক করতে পারে।
আরও পড়ুন: ছাত্র রাজনীতি নিয়ে কঠোর অবস্থানে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্যদের, নিজেদের ব্যক্তিগত পছন্দ অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কোনো ক্লাব বা সংস্থার সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়া কিংবা সংগঠন করতে পারার স্বাধীনতা রয়েছে।
ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় বলছে, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের পলিসি, শৃঙ্খলা ও নিয়মকানুন অনুযায়ী পরিচালিত হয়ে আসছে। বিশ্বমানের কোর্স-কারিকুলাম, সেমিস্টারভিত্তিক কর্মোপযোগী আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, সেশনজট ও রাজনৈতিক সংঘাতমুক্ত রেখে পাঠদান করে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে ছাত্র রাজনীতি শুরু হলে সহিংতা বাড়ার আশঙ্কা আছে, যা সামগ্রিক শিক্ষাব্যবস্থাকে বাধাগ্রস্ত করবে।
]]>




