ভাইরাল নাকি মূল্যবোধের অবক্ষয়
<![CDATA[
ভাইরাল হওয়ার দৌড়ে মেতেছে বর্তমান সমাজ। এই দৌড়ে কেউ জিরো থেকে সেলিব্রেটি বনে যাচ্ছেন আবার কেউবা এক ক্লিকেই সম্মান খুইয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন।
বর্তমানে সবার হাতেই স্মার্টফোন। ছোট্ট শিশুরা পর্যন্ত ফোনে তাদের পছন্দের কার্টুন দেখে। তবে হঠাৎই ফোনে স্ক্রল করতে গিয়ে যদি অবুঝ শিশুটির সামনে অশোভন কোনো ভিডিও চলে আসে তখন ঠিক কী করা উচিত?
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও বা কোনো গান বিকৃত করে ভাইরাল হতে কত সেকেন্ডই-বা দরকার। উদ্দেশ্য একটাই ভাইরাল হতে হবে। অশ্লীল গালাগালি, কোনো ব্যক্তিবিশেষকে নিয়ে নোংরা মন্তব্য করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল সিফাত উল্লাহ ওরফে সেফুদা। মিউজিক ভিডিওগুলো সীমা ছাড়িয়েছে অনেক আগেই, সে চিত্রও স্পষ্ট।
এদিকে হিরো আলম যিনি কিনা রবীন্দ্রসংগীত বিকৃত করে ভাইরাল হন, দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে শিরোনাম হন। ভাইরালের তালিকায় বাদ যাননি অভিনেত্রী ইলোরা গহর। তার আপত্তিকর ভাষায় এক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তবে এসবের মাঝে ভাইরাল হওয়ার জন্য অন্য পন্থা বেছে নিচ্ছেন অনেকে।
আরও পড়ুন: দক্ষিণ সাগরের বিরল মুক্তা
ভিউ বাড়ানোর জন্য পাবলিক প্লেসে মানুষের অজান্তেই তাদের গোপন ভিডিও ধারণ করে ছড়িয়ে দিচ্ছেন ইন্টারনেটে। ভাইরাল হওয়ার তীব্র নেশায় আসক্ত বর্তমান সমাজের পরিণাম কোথায় গিয়ে ঠেকছে এবং এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া কী আদৌ সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে মনোবিজ্ঞানী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম কামরুল হাসান বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার উদ্দেশ্যে অশোভনীয় কন্টেন্ট যারা করছেন একটা সময় সেটা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আরও পড়ুন: ‘মৃতদের জীবিত করার’ চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে অ্যালকর
এমনকি ছোট্ট শিশুদের জন্যও এসব মানসিক অসুস্থতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে পিতা-মাতার নিজে সচেতন হতে এবং বাচ্চাদের সচেতন করার পরামর্শ দিলেন মনোবিজ্ঞানী এম কামরুল হাসান।
ভাইরাল হতে গিয়ে কি চরম মূল্যবোধের অবক্ষয় হচ্ছে না! সমাজেই-বা এসবের গ্রহণযোগ্যতা কীভাবে পাচ্ছে, সেটা ভাবার এখনই উপযুক্ত সময়।
]]>