ভাইরাসজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কে রাজশাহীর খামারিরা
<![CDATA[
রাজশাহীতে গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন খামারিরা। তবে ভাইরাসজনিত এই রোগে পশু মৃত্যুর হার কম বলেছেন পানিসম্পদ বিভাগ।
এদিকে লাম্পি স্কিন রোগের হাত থেকে বাঁচাতে গবাদিপশুর আবাসস্থল নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পানিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা।
বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সরেজমিনে দেখা গেছে, রাজশাহীর পবা উপজেলার খিপাড়া গ্রামের খামারি নাজমুল হোসেনের খামারে ১৫টি গরু আছে। সম্প্রতি ২টি গরুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় গোলাকৃতির গুটি ও ফোস্কা দেখা দেয়। এ ছাড়া শরীর ও পা ফুলে যাওয়ায় গরু ২টি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটছে। বাড়তি যত্ন নিয়েও আক্রান্ত গবাদিপশুর কোনো উন্নতি না হওয়ায় নাজমুলের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ পড়েছে।
আরও পড়ুন: অসংক্রামক রোগ প্রতিরোধে জোরালো আইন দরকার
শুধু নাজমুলের খামারে নয়, একই সমস্যায় ভুগছেন রাজশাহীর প্রতিটি উপজেলার খামারিরা। দিন দিন গবাদিপশুর মধ্যে ভাইরাসজনিত চর্মরোগ লাম্পি স্কিনের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। এ অবস্থায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন অনেক খামার মালিক।
আরও পড়ুন: ঝিনাইদহে ছড়িয়ে পড়ছে সংক্রামক রোগ ‘লাম্পি স্কিন ডিজিজ’
এ রোগের প্রাদুর্ভাব থেকে গবাদিপশুকে বাঁচাতে খামার মালিকদের গবাদিপশুর বাসস্থান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি নানা পরামর্শ দিচ্ছেন জেলা পানিসম্পদ কর্মকর্তা আখতার হোসেন।
১৯২৯ সালে আফ্রিকার জাম্বিয়াতে এই রোগটি প্রথম দেখা দেয়। আর ২০১৯ সালে বাংলাদেশের প্রথম গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন রোগ শনাক্ত হয়। তবে এখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাসজনিত এই রোগের প্রাদুর্ভাব।
]]>