ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জয়ে প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
<![CDATA[
বাংলাদেশ-ভারত ওয়ানডে সিরিজে এক ব্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ জয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের খেলোয়াড়, কোচ ও ম্যানেজারসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশের জয়ের পর এ অভিনন্দন বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বার্তায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জয়ের এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে বাংলাদেশ দলের এই সিরিজ জয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীও অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন।
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতে নিয়েছে লাল-সবুজ বাহিনী। দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ৫ রানে।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে আরেকটা ব্লকব্লাস্টার ম্যাচের সাক্ষী হলো ক্রিকেটবিশ্ব। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা বাংলাদেশকে ব্যাট হাতে অনিন্দ্য সুন্দর শতরানে ২৭১ রানের বিশাল সংগ্রহ এনে দিয়েছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোর পর আঙুলে চোট নিয়েই খেলতে নেমে পড়েছিলেন টিম ইন্ডিয়া কাপ্তান রোহিত শর্মা। বাংলাদেশি ফিল্ডারদের ক্যাচ মিসের মহড়া কিংবা একের পর এক জীবন পেয়ে রোহিতের বাউন্ডারি হাঁকানো, ম্যাচের ভাগ্যটাও যেন দুলছিল।
শেষ ৬ বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রান। হাতে ছিল এক উইকেট। মুস্তাফিজের করা ওভারটির প্রথম বলে ডট দেয়ার পর দুই চার ও এক ছক্কায় ভয় ধরিয়ে দিয়েছিলেন রোহিত। শেষ বলে সমীকরণ ছিল এক বলে ৬ রান। তবে কোনো রানই নিতে পারেনি।
সাম্প্রতিককালে অন্যতম দ্বৈরথে রূপ নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত লড়াই। যেটির আঁচ পাওয়া যায় দুই দল মাঠে নামলেই। তবে ওয়ানডেতে বরাবর শক্তিশালী বাংলাদেশ আরও একবার নিজেদের শক্তিমত্তার জানান দিলো যেন।
আরও পড়ুন: ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের জয়ে আর্জেন্টাইনদের উচ্ছ্বাস
২০১৫ সালে ঐতিহাসিক সেই সিরিজ জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তরুণ পেসার তাসকিন আহমেদের। তবে চলতি এ সিরিজটা নিজের করে নিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম ম্যাচে দলকে খাদের কিনারা থেকে তুলে অবিস্মরণীয় জয় এনে দিয়েছিলেন। আজও ব্যাটে-বলে রাঙালেন।
এর আগে, সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে চাপে পড়ে ভারত। ২৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৪ দিয়ে ইনিংস শুরু করেন বিরাট কোহলি। তার ব্যাটের ধার দেখে মনে হচ্ছিল আজ বড় কোনো ইনিংসই ভারতকে উপহার দেবেন তিনি। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে আসা এবাদত সে সুযোগ দেননি কোহলিকে। এবাদতের করা শর্ট লেংথের পুল করতে গিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হন কোহলি। বলের গতিতে উপড়ে যায় স্টাম্প।
কোহলিকে হারানোর ধাক্কা সামলে না উঠতেই শিখর ধাওয়ানকে হারায় ভারত। তৃতীয় ওভার আক্রমণে আসা মুস্তাফিজুর রহমানের স্লো বাউন্সারে ভড়কে গিয়ে পয়েন্টে ক্যাচ তুলে নেন ধাওয়ান। ১০ বলে ১ চারের মারে তিনি ৮ রান করেন।
আরও পড়ুন:কোহলির স্টাম্প উপড়ে ফেললেন এবাদত
তৃতীয় উইকেট জুটিতে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন শ্রেয়াস আইয়ার ও ওয়াশিংটন সুন্দর। তবে তাদের জুটিকে স্থায়ী হতে দেননি সাকিব আল হাসান। ইনিংসের দশম ওভারে আক্রমণে এসেই সুন্দরকে মিডউইকেট লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন সাকিব।
টানা উইকেট হারানোর পর শ্রেয়াসের ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিতিয়েই মাঠ ছাড়বেন তিনি। ওয়াশিংটনের সঙ্গে তার জুটিতে উঠেছে ১০১ বলে ১০৭ রান। তবে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে মারতে গিয়ে মিডঅফে আফিফের হাতে ধরা পড়লেন। সাজঘরে ফেরার আগে করেছেন ১০২ বলে ৮২ রান। পথের কাঁটা সরাতে আবারও ত্রাতা সেই মিরাজ।
এর আগে, টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২৭১ রান সংগ্রহ করেছিল বাংলাদেশ। শতরানে অপরাজিত ছিলেন মিরাজ। ৮৩ বল মোকাবিলায় মিরাজের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৮ চার ও ৪ ছক্কার মারে। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংস। এর আগে আফগানিস্তানের বিপক্ষে গত ফেব্রুয়ারিতে ৮১ রান ছিল তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস।
]]>




