ভারতে চার রাজ্যে রেড অ্যালার্ট জারি
<![CDATA[
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ভারতের ত্রিপুরা, আসাম, মিজোরাম ও মেঘালয়ে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তসংলগ্ন মেঘালয়ের চারটি জেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানায়, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ভারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে। এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য রাজ্যগুলোতে পাঠানো হয়েছে। একইসঙ্গে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ত্রাণসহায়তা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে উপকূলে আঘাত হানার পর ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংস্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট হয়ে অতিক্রম করছে দেশের স্থলসীমানা। ৭ নম্বর থেকে বিপদ সংকেত নামিয়ে সব নৌবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ভোলা উপকূলে আঘাত হানার পর ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হয়। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত ভারি বৃষ্টিপাতের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে বাংলাদেশে নয়জন মারা গেছেন।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টার দিকে উপকূলীয় জেলায় আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের মূল কেন্দ্র। এরপর তাণ্ডব চালিয়ে রাজধানী ঢাকা হয়ে অগ্রসর হয় সিলেটের দিকে। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৬২ থেকে ৮৮ কিলোমিটার। দিনের পাশাপাশি রাতভর দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হয় ভারি ও মাঝারি ধরনের। বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া।
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং, দায়িত্ব পালনের পর সড়কে ২ পুলিশ সদস্য নিহত
অমাবস্যার কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি উত্তাল রয়েছে জলভাগ। এর প্রভাবে উপকূলীয় বেশ কয়েকটি জেলায় ৫ থেকে ৮ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস দেখা গেছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং উপকূলে আঘাত হানার পর ইতোমধ্যে পরিবর্তন করা হয়েছে বিপদ সংকেত। চট্টগ্রাম, মোংলা, পায়রা ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত জারি করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, মঙ্গলবার ভোর থেকে শক্তি হারিয়ে দুপুর নাগাদ স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়ে ধীরে ধীরে নিস্তেজ হবে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং।
]]>