ভারত যুগ শেষ, সাফে নতুন ইতিহাসের অপেক্ষায় বাংলাদেশ
<![CDATA[
নেপালের বিপক্ষে ফাইনাল জিতে ইতিহাস সৃষ্টির অপেক্ষায় বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। স্বাগতিকদের মাঠে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ কঠিন হবে, তবে চাপ না নিয়ে স্বাভাবিক ফুটবল খেলে ধারাবাহিকতা রাখার লক্ষ্য ফুটবলারদের। অন্যদিকে, ঘরের মাঠে প্রথম শিরোপার স্বপ্ন দেখছে নেপাল’ও। দশরথ রঙ্গশালায় ম্যাচ শুরু সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৫টায়।
ইতিহাস থেকে ঠিক সমান দূরত্বে একই চিত্রনাট্যের দুই কুশিলব। মহারণ মঞ্চায়নের শেষ দৃশ্যে এক পক্ষে যেমন থাকবে সীমাহীন আক্ষেপ, অন্যপ্রান্তে বিজয়ের মহাকাব্য। শিরোপার এতটা কাছে এসে ঠিক সে প্রহরই হয়তো গুনছেন সাবিনা খাতুন।
আরও পড়ুন: স্বপ্নসারথিদের জন্য আমরা শিরোপা জিততে চাই: সানজিদা
এবার নারী সাফে অপ্রতিরোধ্য একটা বাংলাদেশ দলের দেখা মিলেছে। দশরথ সাক্ষী হয়ে আছে স্বপ্না-কৃষ্ণাদের নৈপুণ্যে প্রতিপক্ষের দুমড়ে মুচড়ে যাওয়ার প্রতিটি মুহূর্ত। আরও একবার রঙ্গশালায় সে রং ছড়ানোর অপেক্ষা। কাজটা কঠিন, তবে আত্মবিশ্বাস আছে পাহাড় ডিঙানোর।
এই সাফে চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ২০ গোল বাংলাদেশের। যার আটটাই সাবিনার। ফাইনালে এই গোল মেশিন জ্বলে উঠুক আরও একবার। সঙ্গে সিরাত জাহানের ক্যারিশম্যাটিক পারফরমেন্স। তবে তার ইনজুরি নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। তবে সব পেছনে ফেলে ইতিহাস রচনায় মত্ত কাপ্তান।
বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ম্যাচ পূর্বক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘মেয়েদের মধ্যে কোনো চাপ নেই। তারা স্বাভাবিক খেলাটাই খেলবে। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে যেভাবে খেলে আসছি, সেভাবেই খেলব। ফাইনাল ম্যাচটা জিতে ইতিহাস গড়তে চাই আমরা। সেটা যেন আমরা করতে পারি এটাই আমাদের লক্ষ্য থাকবে।’
বাংলাদেশের মতো নেপালও অপ্রতিরোধ্য। তারাও আক্ষেপ ঘোচাতে চায় আগের চার আসরের ফাইনালের। বাংলাদেশ কঠিন প্রতিপক্ষ, তা ভালো করেই জানা কোচ ও ফুটবলারদের। তবে ম্যাচটা ঘরের মাঠে বলেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস ওদের।
আরও পড়ুন: ইতিহাস সৃষ্টির পথে মাত্র এক ধাপ দূরে বাংলাদেশ
নেপাল নারী ফুটবল দলের কোচ কুমার থাপা বলেন, ‘একটা মাত্র জয়ে আমাদের ইতিহাস রচনা হবে। আমরা সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় আছি। ফুটবলাররা সবাই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা ভিন্ন কিছু ভাবতেই চাই না।’
ভারত শ্রেষ্ঠত্ব যুগের সমাপ্তি টেনে নতুনের অপেক্ষায় নারী সাফ। এই পথে বিজয়ের আলোক বর্তিকা হাতে লাল-সবুজে সূচনা হোক নতুন দিগন্তের।
]]>