বিনোদন

‘ভুটানের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগে বাণিজ্য বাড়বে’

<![CDATA[

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় সে দেশের সরকার বাংলাদেশকে ট্রানজিট ব্যবহারের প্রস্তাব দেওয়ায় এখন ভুটানের সঙ্গে আমাদের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন হবে। এতে উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও পর্যটন খাতে আগ্রহ বাড়বে।

বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর দফতরে ভুটানের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব দেব দাশো কর্মা শেরিনের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে টিপু মুনশি এ কথা বলেন।

এসময় বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভুটান ও অন্যান্য প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আকাশ পথে যোগাযোগ বাড়াতে সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আঞ্চলিক বিমান বন্দর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেখানে প্রয়োজনীয় উন্নয়ন কাজ চলছে।

তিনি বলেন, সৈয়দপুর বিমান বন্দর এবং বাংলাবান্ধা ও বুড়িমারি স্থলবন্দরের মাধ্যমে আঞ্চলিক বাণিজ্য ও যোগাযোগ বাড়বে।

আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু: খুলনা অঞ্চলে সবজি চাষে নতুন সম্ভাবনা

একইসঙ্গে ভারতের মধ্য দিয়ে ভুটানের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ উভয় দেশের জন্য লাভজনক হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ভুটান প্রথম স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা সব সময় সেটি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করি।

তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউনটেন্সি বিষয়ে বাংলাদেশে লেখাপড়ার সুযোগ নিতে ভুটানের প্রতি আহ্বান জানান।

বাংলাদেশে এ বিষয়ে উন্নত মানের শিক্ষা ব্যবস্থা রয়েছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে উভয় দেশের জন্য নতুন যুগের সূচনা হয়েছে।

প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের ৮ম সভা উপলক্ষে ঢাকা সফর করছে। গত ১৩ ও ১৪ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান সচিব পর্যায়ের ৮ম সভা অনুষ্ঠত হয়। সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সভা বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করেন।

আরও পড়ুন: উত্তরবঙ্গের জন্য বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর সুখবর

সভায় ভুটান এবং বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি বাস্তবায়ন জোরদার করতে বাংলাদেশ-ভুটান ট্রানজিট এগিমেন্ট এবং প্রটোকল চূড়ান্ত হয়েছে।  

বাংলাদেশ-ভুটান এগ্রিমেন্ট এবং প্রটোকলের বাস্তবায়ন সংক্রান্ত আলোচনা, বিশেষ করে তৃতীয় দেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সহজীকরণ সংশ্লিষ্ট উদ্যোগ গ্রহণসহ একাধিক বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা ও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভুটান অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদন করে। এ চুক্তি কার্যকর করতে গত ১ জুলাই উভয় দেশ এসআরও জারি করেছে। এর মাধ্যমে ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশের বাজারে এবং বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানের বাজারে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।
 

সূত্র: বাসস

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!