মধুমতি সেতু উদ্বোধন ১০ অক্টোবর
<![CDATA[
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের ‘মধুমতী সেতু’ উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর (সোমবার)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি বেলা সাড়ে ১২টায় উদ্বোধন করবেন দেশের প্রথম ও একমাত্র ছয় লেনের এ সেতুটি।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেতু উদ্বোধনের এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
সভায় আরও জানানো হয়, সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সঞ্চালনার দায়িত্বে থাকবেন নড়াইল জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান।
মধুমতী নদীর কালনা পয়েন্টে নির্মিত এ সেতুকে প্রধানমন্ত্রী ’মধুমতী সেতু’ নাম দিয়েছেন। উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এটি চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে।
সেতু উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে দফায় দফায় মতবিনিময় সভা করা হয়েছে। সভায় সমাবেশের সাজসজ্জা, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাসহ আয়োজনের খুঁটিনাটি নানা বিষয় উঠে আসে। এ সময় পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. ফকরুল হাসানসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ সমাজের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
বহুল কাঙ্ক্ষিত এ সেতু চালুর মধ্য দিয়ে বহতা মধুমতীর স্রোতধারায় বিভক্ত নড়াইল ও গোপালগঞ্জ জেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপন হবে। এ সেতুর ফলে নড়াইল, যশোর, খুলনা, সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমের ১০ জেলার মানুষের ঢাকায় যাতায়াতে ১০০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরত্ব কমবে। এখানকার মানুষ আশা করছেন, মধুমতী সেতুর মধ্য দিয়ে এ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে সাধিত হবে অভূতপূর্ব উন্নয়ন, আর্থসামাজিক চালচিত্র আমূল বদলে যাবে।
আরও পড়ুন: আত্মবিশ্বাসের সেতু
বাংলাদেশ সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের তত্ত্বাবধানে ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় এ সেতু বাস্তবায়ন হয়েছে।
১২টি পিলারের ওপরে ৬৯০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ২৭.১ মিটার প্রস্থের এ সেতুকে দৃষ্টিনন্দন করে তুলেছে এটির ১৫০ মিটার স্টিলের নেল-সন লসি আর্চ। ধনুকের মতো বাঁকা এ স্প্যানটি জাপানের নিপ্পন কোম্পানি ভিয়েতনামে তৈরি করেছে। সেতুতে মোট এবাডমেট রয়েছে ২টি, ১৩টি স্প্যান ও ১৬০টি গার্ডার। সেতুর ৪.২৬ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক রয়েছে। এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে চলবে দ্রুতগতির যান, বাকি দুটিতে ধীর গতিসম্পন্ন যানবাহন চলাচল করবে।
জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) অর্থায়নে জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার। সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ৯৬০ কোটি টাকা।
]]>