মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা-বেচাকেনা বন্ধ
<![CDATA[
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষায় বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের ৩৮ জেলায় ইলিশ ধরা, মজুত, ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন বন্ধ থাকবে।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাসহ নানামুখী অভিযান পরিচালিত হবে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, বাণিজ্যিকভাবে ইলিশ রফতানি এ বছরই বেশি হয়েছে। ভারতে ইলিশ রফতানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে দেশ। তবে দেশের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইলিশ রফতানি বাড়ানো ঠিক হবে না। এ বছর এখন পর্যন্ত ইলিশ রফতানি হয়েছে ১৩৫২ মেট্রিক টন। আর আয় হয়েছে ১ কোটি ৩৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার।
আরও পড়ুন: প্রজনন মৌসুমের নিষেধাজ্ঞার আগে ইলিশ নিয়ে ফিরছেন জেলেরা
এ বছর ইলিশ ধরা নিষিদ্ধকালে জেলেদের জন্য ভিজিএফের চালের পরিমাণ ২০ কেজি থেকে বাড়িয়ে ২৫ কেজি করা হয়েছে। ১৫৫টি উপজেলায় পাঁচ লাখ ৫৪ হাজার ৮৮৭ জেলে পরিবারকে ২৫ কেজি বাড়িয়ে ১৩ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জেলেরা যাতে নদীতে মাছ শিকার করতে না পারে সেজন্য নদী বা সাগরে অভিযান পরিচালিত হবে।
এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে প্রধান প্রজনন মৌসুমে ইলিশ আহরণ বন্ধের সময় নির্ধারণ এবং মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২২ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন সংক্রান্ত জাতীয় টাস্কফোর্স কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
ইলিশের প্রজনন ক্ষেত্রে সব ধরনের মৎস্য আহরণও এ সময় নিষিদ্ধ থাকবে। ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে এ সময় মা ইলিশ সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
প্রতি বছর আশ্বিনের ভরা পূর্ণিমার আগে-পরে ইলিশের ডিম ছাড়ার আসল সময়। এ সময় সাগর থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মেঘনা নদীতে ছুটে আসে। এই সময়কে বিবেচনায় নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। আইন অমান্যকারীকে মৎস্য আইনে সাজা দেয়া হবে।
২০০৩-০৪ সাল থেকে বাংলাদেশে জাটকা রক্ষা কর্মসূচি শুরু হয়। এরপর থেকেই ধীরে ধীরে
ইলিশের উৎপাদন বাড়ছে।
]]>