মহামারিতেও রমরমা অস্ত্রের বাজার, শীর্ষে যুক্তরাষ্ট্র
<![CDATA[
করোনা মহামারির কারণে সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও গত বছর বিশ্বের ১০০টি বড় অস্ত্র কোম্পানি ৫৯২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে, যা ২০২০ সালের চেয়ে ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি। অস্ত্র বিক্রেতা শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে ৪০টিই যুক্তরাষ্ট্রের।
গত বছর করোনা মহামারির কারণে বিশ্বব্যাপী অস্ত্র সরবরাহ ব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত হওয়ায় আশঙ্কা ছিল এ ব্যবসায় ভাটা পড়ার। কিন্তু ঘটেছে তার উল্টো। সম্প্রতি সুইডেনভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (সিপ্রি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালে বিশ্বের ১০০টি বড় অস্ত্র কোম্পানি ৫৯২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। আগের বছরের তুলনায় যা ১ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।
সিপ্রির তথ্যের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায়, বিশ্বব্যাপী ১০০ শীর্ষ অস্ত্র কোম্পানির মধ্যে ৪০টিই যুক্তরাষ্ট্রের। গত বছর অস্ত্র ব্যবসার ৫৯২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে মার্কিন কোম্পানিগুলোর শেয়ার ২৯৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২০ সালে করোনা মহামারি শুরুর পর ওয়াশিংটনের অস্ত্র ব্যবসা নিম্নমুখী হলেও বেড়েছে ইউরোপে। শীর্ষ কোম্পানিগুলোর মধ্যে ইউরোপের রয়েছে ২৭টি। গত বছর তাদের সম্মিলিত অস্ত্র বিক্রি ৪ দশমিক ২ শতাংশ বেড়ে ১২৩ বিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ফিনল্যান্ডের কাছে অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন যুক্তরাষ্ট্রের
এশিয়ার দেশ চীন ও দক্ষিণ কোরিয়াতেও বেড়েছে অস্ত্র বিক্রি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর চীনের শীর্ষ ৮টি অস্ত্র কোম্পানির মোট বিক্রির পরিমাণ ১০৯ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২০ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। শীর্ষ ১০০ কোম্পানির তালিকায় রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার ৪টি কোম্পানি। চলতি বছরের শুরুর দিকে পোল্যান্ডের সঙ্গে বড় ধরনের অস্ত্র চুক্তি করেছে সিউল। এতে আগামী দিনে দেশটিতে অস্ত্র বিক্রি আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
২০২১ সালে রমরমা অস্ত্র ব্যবসা হলেও, চলতি বছর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে অনেক অস্ত্র কোম্পানির অস্ত্র সরবরাহ বাধার মুখে পড়েছে। অন্যদিকে অস্ত্র উৎপাদনের কাঁচামালের সিংহভাগই সরবরাহ করে রাশিয়া। কিন্তু দেশটির ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার অস্ত্রের কাঁচামাল রফতানি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
]]>




