মাদকবিরোধী অভিযান: কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
<![CDATA[
মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে চোরাচালানিদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা নতুন নয়। অনেক সময় অভিযানে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হওয়ার পাশাপাশি আহত এবং নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। এ অবস্থায় বাড়তি সতর্কতার পাশাপাশি কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ।
জানা গেছে, মিয়ামারের অভ্যন্তরে রাখাইন অঞ্চলে চলছে গোলাগুলি। একাধিকবার বাংলাদেশ সীমান্তে এসে পড়েছে মর্টারশেল। কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে বিরাজ করছে আতঙ্ক। এই অবস্থার মধ্যেই থেমে নেই মাদক কারবারিদের অপতৎপরতা। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ইয়াবার চালান ঢুকছে।
আরও পড়ুন: রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৮
গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী র্যাব, পুলিশ, বিজিবিসহ অন্যান্য সংস্থা অভিযানও পরিচালনা করে আসছে নিয়মিত। এসব অভিযানে গিয়ে অনেক সময় মাদক চোরাচালানিদের বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। আহত হওয়ার পাশাপাশি ঘটে নিহতের ঘটনাও। বান্দরবানের তুমব্রু সীমান্তে সোমবার রাতের ঘটনা তার বড় প্রমাণ। প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তর ডিজিএফআইয়ের এক কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। আর র্যাবের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন মাদকবিরোধী যৌথ অভিযানে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অনেক সময় মাদকবিরোধী অভিযানে গিয়ে আমাদের অনেক সদস্য আহত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রেই মাদক চোরাকারবারি মাধ্যমে আমাদের সদস্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাদকের সিন্ডিকেট অনেক বড় এবং তাদের রয়েছে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। হাজার হাজার কোটি টাকার মাদক বাণিজ্য টিকিয়ে রাখতে চোরাচালানিদের নিশ্চয়ই আলাদা পরিকল্পনা থাকে। তাই বাড়তি সতর্কতা দরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শেখ হাফিজুর রহমান কার্জন বলেন, আমাদের দেশেও যদি মাফিয়া তৈরি হয় তাহলে তাদেরকে নির্মূল করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শক্তি বাড়ানোর, প্রশিক্ষণ বাড়ানোর কিংবা তাদের কৌশল এবং অস্ত্র বাড়ানোর দরকার। যেখানে যেখানে তাদের অস্ত্র বাড়ানোর দরকার সেটি করা।
চোরাচালানিদের মোকাবিলা করতে কৌশলগত পরিকল্পনা গ্রহণেরও পরামর্শ তাদের।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, মাদকবিরোধী চোরাচালান অভিযান, এটি একটি বিশেষ ধরনের অভিযান। এই অভিযানটি যখন পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে হচ্ছে, তখন এটির চরিত্র বদলিয়ে যাচ্ছে। সমতলে একধরনের অভিযান হয়, নদীপথে একধরনের হয়। পার্বত্য অঞ্চলে সেখানে অভিযানে যাওয়ার সময় আমাদের যে কৌশলগত দিকে আছে, সেটি আরও পর্যবেক্ষণ করতে হবে। যেন আরও সতর্কভাবে অভিযান পরিচালনা করা যায়।
মাদকের বিরদ্ধে জিরো টলারেন্স বাস্তবায়নে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নেয়ার বিকল্প নেই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
]]>




