মানবতাবিরোধী অপরাধ: নেত্রকোনার খলিলুরের মৃত্যুদণ্ডাদেশ
<![CDATA[
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় নেত্রকোনার খলিলুর রহমানকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত ও রেজিয়া সুলতানা চমন।
গত রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন ট্রাইব্যুনাল এ দিন ঠিক করেন।
এর আগে গ্রেফতার হওয়া তিন আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মাসুদ রানা এবং পলাতক একজনের পক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী গাজী এমএইচ তামিম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধ: সাতক্ষীরার ৪ আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ
২০১৭ সালের ৩০ জানুয়ারি এ মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে তদন্ত সংস্থা।
ওই সময় মামলায় আসামি ছিলেন পাঁচজন। এর মধ্যে একজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
অপর চার আসামি নেত্রকোনার দুর্গাপুর থানার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের মো. খলিলুর রহমান, তার ভাই মো. আজিজুর রহমান, একই থানার আলমপুর ইউনিয়নের আশক আলী ও জানিরগাঁও ইউনিয়নের মো. শাহনেওয়াজ। তাদের মধ্যে খলিলুর রহমান পলাতক।
বাকিরা গ্রেফতার হলেও বিচার চলাকালীন তিনজন মারা যান।
এ মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালে দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা থানা এলাকায় অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ, ধর্ষণ, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
এসব অভিযোগের মধ্যে ২২ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, একজনকে ধর্ষণের চেষ্টা, অপহৃত চারজনের মধ্যে দুজনকে ক্যাম্পে নির্যাতন, ১৪ থেকে ১৫টি বাড়িতে লুটপাট এবং ৭টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বর্তমানে বিচারাধীন একমাত্র পলাতক আসামি খলিলুর রহমান ১৯৭১ সালে ইসলামী ছাত্র সংঘের সদস্য ছিলেন। যুদ্ধের সময় রাজাকার বাহিনীতে যোগ দেন। পরে চণ্ডীগড় ইউনিয়নে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার হন তিনি।
]]>