বিনোদন

মামলা নিয়ে জনি-আম্বার-এর সমঝোতা

<![CDATA[

হলিউড তারকা দম্পতি জনি ডেপ ও অ্যাম্বার হার্ড তাদের বিবাহিত জীবনের ইতি টানার পর পত্রিকায় কলাম লিখে সাবেক স্বামী জনি ডেপের বিরুদ্ধে পারিবারিক সহিংসতা বা নির্যাতনের অভিযোগ করেছিলেন অ্যাম্বার হার্ড। এর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন জনি। পরে পাল্টা মামলা করেন অ্যাম্বারও। আদালতের রায়ে মামলায় জয়ী হন জনি। এবার সেই মানহানির মামলা থেকে রেহাই পেতে নিষ্পত্তিতে আসতে চান অ্যাম্বার।

ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে মামলার নিষ্পত্তির বিষয়টি উল্লেখ করে একটি নোট শেয়ার করেছেন অ্যাম্বার। সেখানে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি এটি আর চালিয়ে নিতে চান না। তবে সেখানে মীমাংসার কোনো শর্তাদি প্রকাশ করেননি অ্যাম্বার। এর আগে ভার্জিনিয়া আদালতের বিচারক মামলার রায়ে জনি ডেপকে ১০ মিলিয়ন ডলার দেয়ার রায়ে অটল থাকলে মামলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তে আসেন অ্যাম্বার।

আরও পড়ুন: ভিএফএক্স ছাড়াই পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের দৃশ্যধারণ

মানহানি মামলার রায় আগেই আম্বার হার্ডের বিপক্ষে গিয়েছিলে। ক্ষতিপূরণ হিসেবে ডেপকে ১০ মিলিয়ন বা এক কোটি ডলার দিতে বলেছিলেন আদালত। তবে এত বড় অঙ্কের অর্থ মেটানোর সামর্থ্য নেই বলে জানিয়েছিলেন আম্বার হার্ড। শেষ পর্যন্ত জরিমানার বিষয়টি গড়াল সমঝোতায়। ডেপের সঙ্গে ১০ লাখ ডলারের সমঝোতায় গিয়েছেন আম্বার। ডেপের শিবির জানিয়েছে, এক মিলিয়ন বা ১০ লাখ ডলার শোধ করবেন হার্ড সেই মর্মে সমঝোতায় পৌঁছেছে দুই পক্ষ। আম্বারের কাছ থেকে পাওয়া অর্থ দাতব্য প্রতিষ্ঠানে ডেপ দান করে দেবেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবীরা।

আইনজীবী বেনজামিন চিও ও ক্যামিলে ভ্যাজকুয়েজ বলেছেন, ‘ডেপের জন্য বেদনাদায়ক এমন একটি অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি টানতে পেরে আমরা আনন্দিত। তার ইচ্ছা ছিল আসল সত্যটাকে বের করে আনা। বিচারকরা অবিসংবাদিতভাবেই হার্ডের বিপক্ষে ও ডেপের পক্ষে রায় দিয়েছেন।’

আরও পড়ুন:‘অ্যাভাটার’ দেখতে গিয়ে হলেই দর্শকের মৃত্যু!

এদিকে ইনস্টাগ্রাম নোটে অ্যাম্বার আরও লেখেন, ‘ভার্জিনিয়ায় আমার সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলাটি নিষ্পত্তি করার জন্য আমি অনেক চিন্তাভাবনা করার পর খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মামলাটি থেকে রেহাই চাই। তবে এটা সত্য যে আমি কখনোই এটি বেছে নিইনি। আমি সত্যকে রক্ষা করতেই আইনের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। এটা করতে গিয়ে আমার জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে যে অপমানজনক আচরণের সম্মুখীন হয়েছি, সেটি আধুনিক যুগে নারীদের প্রতি নির্মমতার নতুন সংস্করণ। অবশেষে এখন আমার এমন কিছু থেকে নিজেকে মুক্ত করার সুযোগ আছে, যা আমি ছয় বছর আগে ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। কিছু শর্তে আমি সম্মত হতে পারি।’

আমেরিকার বিচারব্যবস্থার ওপর আস্থা হারানোর বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি দাবি করেন, ইংল্যান্ডের আদালতে অনেক বেশি সম্মানের সঙ্গে মামলা লড়া যায়। সেখানকার বিচার পদ্ধতিও সংগত, সত্যনিষ্ঠ। তিনি বলেন, ‘যখন আমি যুক্তরাজ্যের একজন বিচারকের সামনে দাঁড়ালাম, তখন আমি একটি শক্তিশালী, নিরপেক্ষ এবং ন্যায্যবিচার ব্যবস্থা পেয়েছিলাম। সেখানে আদালত প্রমাণ খুঁজে পেয়েছিল যে আমি পারিবারিক ও যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছি। কিন্তু আমেরিকায় আমি সেই ন্যায্যতা পাইনি।’

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Check Also
Close
Back to top button
error: Content is protected !!