খেলা

মার্কেটে সিনেপ্লেক্স করলে মিলবে স্বল্পসুদে ঋণ

<![CDATA[

মেট্রোপলিটন শহর এবং শহরের বাইরে মার্কেটে সিনেপ্লেক্স কিংবা সিনেমা হল করলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ানযোগ্য ঋণ তহবিল থেকে ঋণ দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

সোমবার (২ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনেমা হল মালিক সমিতি ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এ কথা জানান তিনি।

দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই চলচ্চিত্রের যাত্রা শুরু হয়েছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে। দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার এরইমধ্যে অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছে। তার অন্যতম একটি পদক্ষেপ এক হাজার কোটি টাকায় স্বল্পসুদে ঋণ তহবিল। সেটির জন্য পঞ্চাশের অধিক দরখাস্ত পড়েছে। আমরা আশা করছি সেগুলো তাড়াতাড়ি ছাড়া করা হবে। আরও অনেক দরখাস্তকারী উৎসাহী আছেন। তারা যদি দরখাস্ত দেয়, তাহলে আমরা ব্যাংকগুলোকে বলে দেব।’

আরও পড়ুন: বন্ধ হওয়া ২০০ সিনেমা হল চালু করেছি: তথ্যমন্ত্রী

হাছান মাহমুদ বলেন, চট্টগ্রামে এক কোটি লোকের বসাবাস, সেখানে মাত্র দুটি সিনেপ্লেক্স। সেখানে আরও সিনেপ্লেক্স হওয়া দরকার। দেশের সব বড় শহরে সিনেপ্লেক্স দরকার। ঢাকাতে যদি ৬টি চলে তাহলে আরও চলবে। ইতোমধ্যে অনেকেই উদ্যোগী হয়েছেন। বগুড়ায় হয়েছে, রাজশাহীতে হচ্ছে।সিনেমা হলে ভালোভাবে বসার ব্যবস্থা, এসি, রেস্টুরেন্টসহ অন্যান্য সুবিধা না থাকলে মানুষ এখন যেতে চায় না। সেক্ষেত্রে সিনেপ্লেক্স যেগুলো মার্কেটে হয়েছে সেগুলো ভালো করছে।

মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের যে পুনঃঅর্থায়ানযোগ্য ঋণ তহবিল, কোনো মার্কেটের মধ্যে সিনেপ্লেক্স করলেও সেখান থেকে ঋণ দেবে। কেউ যদি একটি মার্কেটে সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল করতে চায়, তাহলে তিনি ঋণ পাবেন। একথা অনেকরই জানে না।

তিনি বলেন, এরইমধ্যে যারা সিনেমা হলের জায়গায় মার্কেট করে ফেলেছেন, সে মার্কেটে যদি তারা নতুন করে সিনেপ্লেক্স বা সিনেমা হল করতে চায়, তাহলেও তিনি ঋণ পাবেন। মেট্রোপলিটন শহরের ভিতরে ৫ শতাংশ সুদে এবং মেট্রোপলিটন শহরের বাইরে সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে এ ঋণ নিতে পারবেন। যেখানে সাধারণ ঋণে সুদ হচ্ছে ৯ শতাংশ। সেখানে অর্ধেক সুদে এক বছরের গ্রেস প্রিয়ডসহ ঋণ পাচ্ছেন।

বছরে অন্তত ১০টি হিন্দি চলচ্চিত্র আমদানি করে প্রদর্শন করতে চাচ্ছে হল মালিকদের সমিতি। এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, পরিচালক সমিতি, শিল্পি সমিতি এবং প্রযোজক সমিতি এ চারটি সমিতি যদি লিখিতভাবে দেয় (আবেদন) আমার কাছে, তাহলে আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ নেব। কিন্তু সবাইকে লিখিতভাবে দিতে হবে। যদি আপত্তি না থাকে তাহলে আমরা সব রকমের ব্যবস্থা নেব।’

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস বলেন, ‘আমরা মনে করি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে সরকার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে কারণে প্রেক্ষাগৃহের উন্নয়ন ও নতুন চলচ্চিত্র নির্মাণে এক হাজার কোটি টাকার বিশেষ তহবিল দেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই তহবিল বাস্তবায়নে ব্যাংকারদের অসহযোগিতা এবং সিনেমা মালিকদের মধ্যে বিভ্রান্তি কাটাতে আপনি (তথ্যমন্ত্রী) দু-তিনবার আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে আমরা দেশে অন্তত ৫০টি সিনেপ্লেক্স উপহার দিতে পারব।’

আরও পড়ুন: সিনেমাপ্রেমীদের মিলনমেলা হয়ে উঠেছে ফ্যাব ফেস্ট

তিনি বলেন, ‘পরান’ ও ‘হাওয়া’ সিনেমা ভালো ব্যবসা করেছে। কিন্তু এরপর আর কোনো ছবি নেই। এতে হলগুলোকে দৈনন্দিন খরচ যোগাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। তারা অসহায় অবস্থায় আছে। সে ক্ষেত্রে হিন্দি সিনেমা আসলে কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। দেশে বছরে ১০টি হিন্দি ছবি আনতে চাচ্ছে প্রদর্শক সমিতি। এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চাচ্ছি।

এ সময়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাসের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলেন।

]]>

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
error: Content is protected !!