মাসে দুবার সুলভ মূল্যে পণ্য চান ক্রেতারা
<![CDATA[
চলতি মাসের জন্য ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে এক কোটি পরিবারের মধ্যে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এতে নিম্ন আয়ের মানুষ কিছুটা স্বস্তি পেলেও তাদের দাবি, এভাবে পণ্য বিক্রি যেন মাসে দুবার করা হয়। এদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, এ কার্যক্রম চালাতে বর্তমান মূল্যে বছরে প্রায় ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা সরকারকে ভর্তুকি দিতে হবে। তাই একবারের জায়গায় দুবার দিতে হিসাব কষে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
সকালে রাজধানীর তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকায় দেখা যায়, ফ্যামিলি কার্ড হাতে লম্বা লাইনে দীর্ঘ অপেক্ষা টিসিবির পণ্য কিনতে আসা নিম্ন আয়ের মানুষের। তাদের এ অপেক্ষার কারণ টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমে ৫৫ টাকা কেজি দরে মিলছে ১ কেজি চিনি, ৬৫ টাকা কেজি দরে ২ কেজি ডাল এবং ১১০ টাকা দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল। বাজার দরের হিসাবে এসব পণ্য তারা কিনতে পারছেন প্রায় ৩০০ টাকা কমে।
এ বিষয়ে পণ্য কিনতে আশা ভোক্তারা বলেন, আগে ট্রাকসেলে দিত। কেউ পেত, আবার কেউ-বা পেত না। ট্রাক চলে যেত। কিন্তু এখন সিরিয়াল আছে, কার্ড আছে। সুতরাং পাবই। আমাদের যে টাকা সাশ্রয় হচ্ছে, আমরা সেটি সংসারের অন্য কাজে খরচ করতে পারছি।
তবে উচ্চমূল্যের নিত্যপণ্যের বাজারে হিমশিম খাওয়া ভোক্তাদের দাবি, মাসে যেন দুবার টিসিবির ভর্তুকি মূল্যের এসব পণ্য দেয়া হয়।
আরও পড়ুন: টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন রোববার
এক ক্রেতা বলেন, ‘হয় মাসে দুবার দেয়া হোক, না হয় তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে ৫ লিটার করা হোক। তাহলে আমাদের জন্য সুবিধা হবে।’
মূল্যস্ফীতির বাজারে নিম্ন আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম চালাতে সরকারকে বড় অঙ্কের ভর্তুকি গুনতে হচ্ছে, তাই নতুন সিদ্ধান্ত ভেবেচিন্তে নিতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ সপ্তাহের মধ্যে সব জেলায় টিসিবির বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে। এটি প্রতি মাসেই একবার করে এক কোটি পরিবার পাবে। আশা করি, এ মাসের পণ্য বিক্রি কার্যক্রম ২৫ থেকে ২৭ তারিখের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। অক্টোবরে আবার চলবে। বছরজুড়ে চলবে।
এ ছাড়া সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ বিবেচনায় ২০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি পেঁয়াজও বিক্রি করা হবে বলে জানিয়েছে টিসিবি।
]]>