মাহমুদউল্লাহকে সসম্মানে বিদায় দিতে চান পাপন
তিন সংস্করণের কোনোটাতে নেই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। তামিম ইকবালের পর মুশফিকুর রহিম বিদায় জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটকে। তবে বোর্ড ও সমর্থকদের আফসোস, টাইগার ক্রিকেটের এই তিন পাণ্ডব মাঠ থেকে বিদায় নেননি বলে। এদিকে টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় জানানো মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও হয়তো এবার বিদায় জানাতে পারেন সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে। তবে হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে অবসর ঘোষণা নয়, মাঠ থেকেই তাকে বিদায় জানানোর সুযোগ করে দিতে চান বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
মিরপুরে মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) ত্রিদেশীয় সিরিজ ও বিশ্বকাপ পরিকল্পনা নিয়ে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হন পাপন। এ সময় প্রসঙ্গ ওঠে ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে বিদায় নেয়ার। বর্তমানে অফ ফর্মে থাকা ৩৬ বছর বয়সী মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ যদি এ দুই টুর্নামেন্টে সুযোগ না পান, তাহলে তিনি মাঠ থেকে অবসর নেয়ার সুযোগ পাবেন কি না, এমন প্রশ্ন ভেসে আসে। কারণ আগামী ফেব্রুয়ারিতে ৩৭ বছরে পা রাখবেন রিয়াদ। আর তখন তার আবার দলে ফেরা নিয়ে সংশয় থাকবেই।
ফলে এ বিশ্বকাপে জায়গা না পেলে তিনি হয়তো তামিম-মুশফিকের পথেই হাঁটবেন, এমনটাই ধারণা ক্রিকেট বিশ্লেষকদের। তবে পাপন চান না, দলের এক সময়ের কার্যকরী ব্যাটার তামিম ও মুশফিকের মতো সামাজিক মাধ্যমে নিজের অবসরের সিদ্ধান্ত নিক। তাকে মাঠ থেকেই বিদায় নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিতে চান তিনি।
গণমাধ্যমকে এ বিষয়ে পাপন বলেন, ‘ আমরা যদি ওকে (মাহমুদউল্লাহ) দলে জায়গা না দিতে পারি, ওকে যদি অবসর নিতেই হয়, তাহলে তাকে ন্যূনতম সম্মানটা তো দেয়া উচিত। মাঠ থেকে অবসরের সুযোগ দেয়া উচিত। কারণ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবদান খাটো করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। বহু ম্যাচ জিতিয়েছে আমাদের।’
এদিকে এশিয়া কাপের ব্যর্থ মিশন শেষে দেশে ফিরেই বোর্ডের সঙ্গে আগে থেকে আলোচনা না করে সামাজিক মাধ্যমে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত জানান মুশফিক। মিস্টার ডিপেন্ডেবলের এমন সিদ্ধান্তে কষ্ট পেয়েছেন পাপন। এর আগে গত ১৭ জুলাই তামিম ইকবাল নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন। এভাবে বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা না করে খেলোয়াড়দের অবসরের সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না বিসিবি সভাপতি। তার চাওয়া ক্রিকেটারদের মাঠ থেকে সসম্মানে বিদায় জানানো।
পাপন বলেন, ‘মুশফিক অবসর নিয়েছে, আমাদের তো খারাপ লাগে। আমি সব সময় বলে গেছি, মুশফিক আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। এখন একেকটা সংস্করণে টিম কম্বিনেশনের কারণে একেকজনের জায়গা হয় না, সেটা ভিন্ন বিষয়। ভবিষ্যৎ চিন্তা করলে হয়তো আমি দুই বছর পর অনেককেই পাব না বিশ্বকাপে। তবে খেলোয়াড়েরা যদি নিজেরা অবসরের ঘোষণা না দিয়ে আমাদের সুযোগ করে দেয়, আমরা তাদের সসম্মানে বিদায় দেব। সেটি যে কোনো সংস্করণেই হোক, আমরা (ব্যবস্থা) করে দেব বিদায় নেওয়ার। সেই সুযোগ তারা যেন আমাদের দেয়।’